ছয় ম্যাচ তিন জয়ই যথেষ্ট সাকিবের!

ভারতের বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পণের পরও সাকিব আল হাসান তাঁর স্বভাবসুলভ ‘কথা দিয়ে জিতে যাওয়ার’ চেষ্টা অব্যহত রেখেছেন। ছয় ম্যাচে তিন জয় আর তিন হারকে তিনি খুব একটা খারাপ পারফরম্যান্স বলে মানতে নারাজ।

ম্যাচে ভারত আগে ব্যাটিং পেয়ে ১৯৬ রানের বিশাল পুঁজি গড়ে তারা। জবাবে পুরো ওভার ব্যাট করেও বাংলাদেশ ১৪৬ রানের বেশি করেনি। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বাড়ি ফেরা নিশ্চিত হয়।

বিশ্বকাপে পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশ কি না, ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমন একটা প্রশ্ন করা হয়েছিল সাকিবকে। তিনি সাফ জবাব দেন, ‘ছয় ম্যাচে তিনটা জয়, তিনটা হার। খুব তো খারাপ না!’ কে বলবে, এই সাকিবই বিশ্বকাপ জিততে চাইতেন বাংলাদেশের হয়ে!

বল হাতে ৩ ওভারে ৩৭ রান দেওয়া সাকিব ব্যাট করতে নেমে ৭ বলে করেন ১১ রান। বিশ্বকাপের এক নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ বাদ দিলে পুরো আসর জুড়েই সাকিব ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে।

টস জিতে একজন পেসার কম থাকার পরও বোলিং নেয় বাংলাদেশ। ভারত গড়ে রানের পাহাড়। সাকিব বলেন, ‘শুরুতে ব্যাটিং নেওয়াই ট্রেন্ড বেশিরভাগ দলের, তারা সফলও হয়। পরিসংখ্যান দেখলে আগে ব্যাট করাই আদর্শ হতো। অধিনায়ক ও কোচ হয়ত অন্যভাবে চিন্তা করেছেন। আমরা হয়ত ভেবেছি তাদের নাগালের মধ্যে আটকে রাখতে পারব।’

তবে, নাগালের বাইরে চলে যায় ভারতের সংগ্রহ। তবে, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ওপর আস্থা আছে সাকিবের। এখানে তিনি মূদ্রার ‍উল্টো পিঠটাও দেখালেন।

বললেন, ‘দলের যখন নেতা একজন থাকবে সিদ্ধান্ত তার। যদি ভাল করতে পারতাম অধিনায়কের কৃতিত্ব হত। খারাপ করলে তাদের সিদ্ধান্তের উপর আমরা প্রশ্ন রাখি। এটা খুবই যুক্তিযুক্ত। এটা এভাবেই হয়। যদি দেখা যেত প্রথম দুই ওভারে দুটি উইকেট নিয়ে নিছি তাহলে মনে হতো ব্যাটিং করলে ভালো হতো। নিতে পারিনি তখন মনে হচ্ছে আগে ব্যাট করলে ভাল হত।’

২৫ জুন, সুপার এইটের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। সাকিব-শান্তদের জন্য এই ম্যাচ স্রেফ নিয়ম রক্ষার লড়াই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link