টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক একজন আফগান। নিশ্চয়ই পুলকিত হওয়ার মত এক তথ্য। ক্রমশ বিশ্বক্রিকেটে সমীহ আদায় করে নিচ্ছে আফগানিস্তান। তার পেছনে যেমন রয়েছে রশিদ খানের অবদান, তেমনি অবদান রাখছেন রহমানুল্লাহ গুরবাজও।
বর্তমান সময়ের অন্যতম কার্যকর ওপেনারদের একজন গুরবাজ। টি-টোয়েন্টির মেজাজটা বোঝেন। দলের প্রয়োজ্জন বোঝেন। ভয় পাননা কোন পরিস্থিতিতেও। তাইতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও পেলেন ফিফটির দেখা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলকে একটা ভাল অবস্থানেই নিয়ে যেতে চেয়েছেন বটে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যেকোন দলের ব্যাটাররাই সংগ্রাম করে। গুরবাজও করলেন বটে। কিন্তু রানের চাকাকে সচল রেখেছেন তিনি আউট হওয়ার আগে পর্যন্ত। ৪৯ বলে ৬০ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। ১২২ এর একটু বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করে গেছেন। সমান ৪টি করে চার-ছক্কা হাঁকিয়েছেন গুরবাজ।
তাতে করে এবারের বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত তৃতীয় ফিফটির দেখা পেয়ে যান রহমানুল্লাহ গুরবাজ। এবারের বিশ্বকাপে ধারাবাহিকভাবেই রান করে যাচ্ছেন তিনি। তাছাড়া ইব্রাহিম জাদরানকে সাথে নিয়ে ১১৮ রানের দারুণ এক জুটি গড়েছেন তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
আফগানিস্তানের সফলতার অনেকটাই নির্ভর করেছে রহমানুল্লাহ গুরবাজের ব্যাটে। কেননা তিনি আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেছেন এখন অবধি। ৬ ইনিংসে ২৩৮ রান নিয়েছেন তিনি। ১৪১.৬৬ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করে গেছেন পুরোটা সময়জুড়ে। পরিস্থিতি বিবেচনায় আগ্রাসী হয়েছেন। আবার প্রয়োজনে একটু রয়েসয়ে খেলেছেন।
তবে যা কিছু করেছেন দলের জন্যেই করেছেন তিনি। কেননা তার দলের মিডেল অর্ডার ততটাও পরীক্ষিত নয়। আফগানিস্তানের বর্তমান ব্যাটিং অর্ডার অনেকটাই নির্ভর করে তাদের ওপেনিং জুটির উপর। সে জুটিতে রান এলেই আফগানদের সংগ্রহ হয়েছে ভদ্রস্থ। নতুবা মুখ থুবড়ে পড়ত আফগান ব্যাটিং দূর্গ। ঠিক যেমনটা ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
১১৮ রানে উদ্বোধনী জুটির পতনের পর, মাত্র ৩০ রানেই রশিদ খানের দল হারিয়েছে ৫ উইকেট। পরবর্তী ২৫ বলে স্রেফ ৩০টি রানই নিতে সক্ষম হয়েছে আফগানদের মিডেল অর্ডার। ঠিক এ কারণেই রহমানুল্লাহ গুরবাজের ব্যাট থেকে আসা প্রতিটা রানই মহা-গুরুত্বপূর্ণ। তাইতো তিনি ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।