আন্ডারডগ হয়েই এবারে কোপা আমেরিকা খেলতে নেমেছে ব্রাজিল। দলে এসেছে আমুল পরিবর্তন। তারুণ্যে ঠাসা ব্রাজিল দলটায় হয়েছে বেশ রদবদল। তাইতো ব্রাজিল হবে চ্যাম্পিয়ন এমন বাজি ধরার লোকের বড্ড অভাব। তবুও সেলেসাওরা নিজেদেরকে নিঙড়ে দিয়ে কোপা আমেরিকা মিশন শুরু করেছে। যদিও কোস্টারিকা দেয়নি কোনরকম ছাড়।
৫ জন রক্ষণভাগের খেলোয়াড় নিয়ে মাঠে নেমেছিল কোস্টারিকা। তাদের উদ্দেশ্য ছিল স্পষ্ট। যেকোন মূল্যে রুখে দিতে হবে ভিনিসিয়াস জুনিয়দের। শেষ অবধি সফলও হয়েছে দলটি। গোল শূন্য ড্র-তেই শেষ হয়েছে ম্যাচ। ব্রাজিলের একের পর এক আক্রমণ প্রতিহত হয়েছে কোস্টারিকার রক্ষণ দূর্গে।
ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রদ্রিগো গোয়েজরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে থেকেছেন গোল বঞ্চিত। গোলদ্বার অবশ্য খুলেছিল। ম্যাচের ৩৩ মিনিটের মাথায় ফ্রি-কিক গিয়ে পড়ে কোস্টারিকার ডি-বক্সে। সেখান থেকে রদ্রিগোর কাঁধে লেগে বল চলে যায় ফারপোস্টে। সেখান থেকে বল জালে জড়িয়েছিলেন সেলেসাও ডিফেন্ডার মার্কুইনহোস। যদিও সে গোল বাতিল হয়ে যায়।
ভিডিও এসিস্টেন্ট রেফারি জানায় রদ্রিগো ছিলেন অফসাইডে। এরপরও আক্রমণের ধার কমেনি ব্রাজিলের। ৭৪ শতাংশ বলের দখল নিজেদের পায়ে রেখেছিল ব্রুনো গুইমারেজরা। ১৯ খানা শট চালিয়েও লক্ষ্যভেদ করা যায়নি। মুহুর্মুহু আক্রমণেও টলেনি কোস্টারিকার রক্ষণ। লুকাস পাকুয়েতারা ৩টি শট রাখতে পেরেছিল তিনকাঠির মধ্যে। কিন্তু দৃঢ়তার সাথে সেসবও প্রতিহত করেন কোস্টারিকার গোলরক্ষক প্যাট্রিক সিকুয়েরা।
ব্রাজিলের নয়া কোচ ডোরিভাল জুনিয়র হন্যে হয়ে সমাধান খুঁজেছেন। কিন্তু এন্ড্রিক ফেলিপে, গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লিদের ব্যবহার করেও কোস্টাররিকার বাস-পার্কিংয়ের সমাধান মেলেনি। শেষ অবধি দাপট দেখিয়েও ব্রাজিল থেকেছে গোলশূন্য। একটি পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাই ব্রাজিলকে।
এমন ‘রক সলিড’ রক্ষণ ভাঙার অন্যতম অস্ত্র হতে পারত নেইমার জুনিয়র। সেলেসাওদের সেই তুরুপের তাস গ্যালারীতে বসে স্রেফ আফসোসই করেছেন। কেননা ইনজুরি জর্জরিত নেইমার নেই কোপা আমেরিকার স্কোয়াডে। তাকে ছাড়াই গ্রুপ পর্বের পরবর্তী ম্যাচে আগামী ২৯ জুলাই বাংলাদেশ সময় সকাল সাতটায় প্যারাগুয়ের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল।