হাঙ্গেরিকে হারানোর পর জার্মানিকে রুখে দেয়া কিংবা রাউন্ড অব সিক্সটিনে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে হারানো – চলতি ইউরোর ডার্ক হর্স হয়ে উঠেছিল সুইজারল্যান্ড। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে থেমে যেতে হলো তাঁদের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে বাড়ির পথ ধরলো তাঁরা। যদিও ১২০ মিনিট ধরে লড়াইটা হয়েছে সমানে সমানে, তবে ভাগ্য সহায় হয়নি।
ইউরোর ম্যাচ মানেই বাড়তি রোমাঞ্চ, ইংল্যান্ড-সুইজারল্যান্ড ম্যাচেও ব্যতিক্রম হয়নি। আক্রমণ, প্রতি আক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে টাইব্রেকারে। আর সেখানে ৫-৩ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে ইংলিশরা।
এদিন ইংল্যান্ড অবশ্য নিজেদের স্বাভাবিক ছকের বাইরে গিয়ে দল সাজিয়েছে। তিনজনের ব্যাকলাইন ছিল তাঁদের, এর ঠিক উপরে ছিলেন দুইজন মিডফিল্ডার। দুই উইংয়ে আবার একজন ফুলব্যাক এবং আরেকজন উইঙ্গারকে খেলানো হয়েছে। সবশেষে হ্যারি কেইনের ঠিক পিছনে নাম্বার টেন রোলে খেলেছেন দু’জন। অন্যদিকে সুইসরা তাঁদের চিরচেনা ৩-৪-২-১ ফরমেশন নিয়েই খেলতে নেমেছিল।
যদিও ম্যাচের শুরু থেকে দুই দলই ঢিমে তালে খেলার চেষ্টা করেছে; বুঝেশুনে উপরের দিকে উঠেছে তাঁরা। তাই প্রথমার্ধে বলার মত কোন সুযোগই তৈরি হয়নি, যদিও ভাগ্য সহায় হলে বিরতির ঠিক আগে গোল করতে পারতেন বুয়াকো সাকা।
শেষমেশ ৭৫ মিনিটে এমবলো ডেডলক ভেঙে লিড এনে দেন সুইজারল্যান্ডকে। কিন্তু যখনি সেমিফাইনালের স্বপ্ন উঁকি দিতে শুরু করেছিল তাঁদের আকাশে তখনই ইংল্যান্ডকে সমতায় ফেরান সাকা। ম্যাচের বাকি অংশে আর কোন গোল না হলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তবে বাড়তি ত্রিশ মিনিটও ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
ম্যাচের বাকি গল্প জানা আছে সবারি; এখন ইংল্যান্ডের সব মনোযোগ সেমিফাইনালকে ঘিরে। গত আসরে শিরোপা জেতার ইচ্ছে অপূর্ণ রেখেই ফিরেছিল তাঁরা। এবার কি তবে সেই ইচ্ছে পূরণ হবে?