পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে (পিসিবি) স্থিতিশীলতা নেই বললেই চলে; আজ এই পরিবর্তন তো কাল আরেকটা। সবশেষ নির্বাচক প্যানেলে পরিবর্তন এনেছে তাঁরা, বাদ পড়েছেন দুই সাবেক ক্রিকেটার ওয়াহাব রিয়াজ এবং আবদুল রাজ্জাক। তাঁদের বাদ দেয়ার কারণ অবশ্য সামনে এসেছে এবার, আর সেটাই আলোড়ন তুলেছে দেশটির ক্রিকেটাঙ্গনে।
বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে প্রধান কোচ গ্যারি কার্স্টেন এবং সহকারী কোচ আজহার মেহমুদ বোর্ডে প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন। সেখানেই মূলত নির্বাচকদের প্রতি তাঁদের অসন্তোষ প্রকাশ পায়। শোনা গিয়েছে, ওয়াহাব রিয়াজ এবং আবদুল রাজ্জাকের নামে অভিযোগ দিয়েছেন তাঁরা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, দু’জনেই নিজেদের পছন্দের খেলোয়াড়কে জোর করে দলে রেখেছেন। বাজে পারফরম্যান্সের কারণে প্যানেলের বাকি সদস্যরা বাদ দিতে চাইলেও পছন্দের খেলোয়াড়কে দলে রাখতে বাধ্য করতেন তাঁরা। এছাড়া সিনিয়র ম্যানেজার হওয়া সত্ত্বেও ওয়াহাব ড্রেসিংরুম সামালাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
জানা গিয়েছে, বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে শাহীন শাহ আফ্রিদির মাঝে খেলার প্রতি অনাগ্রহ ফুটে উঠেছিল। এছাড়া পরিবারের সঙ্গে থাকায় অনেক ক্রিকেটার দলীয় শৃঙ্খলার দিকে নূন্যতম দৃষ্টিও দেননি।
অথচ এসব কিছু দেখে উল্টো না দেখার ভান করে এড়িয়ে গিয়েছেন পাকিস্তানের টিম ম্যানেজার। খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রণ করার কোন চেষ্টা করা হয়নি। দুই কোচের এসব গুরুতর অভিযোগের কারণেই মূলত পিসিবি ম্যানেজম্যান্টে আরো একবার পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে ওয়াহাব রিয়াজ এবং আবদুল রাজ্জাককে বাদ দেয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না সংস্থাটি। ড্রেসিংরুমে যে বা যারা বিদ্বেষ তৈরি করছেন তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভী। এখন দেখার বিষয়, কাদের জন্য এই শাস্তি প্রযোজ্য হয়। যদিও স্রেফ পরিবর্তন ভাল করার জন্য যথেষ্ট নয়, ইতিবাচক পরিবর্তন ও স্থিতিশীলতাও জরুরি।