ম্যাচ তখন অতিরিক্ত সময়ে গড়ানোর দ্বারপ্রান্তে, কিন্তু বদলি নামা অলি ওয়াটকিনসের তর সইলো না আর। তাই তো ৯২ মিনিটের সময় নেদারল্যান্ডসের জালে বল জড়িয়ে দিলেন তিনি; পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে আড়ালে থাকা এই স্ট্রাইকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দেখালেন চমক; গড়ে দিলেন ম্যাচের ভাগ্য। তাতেই ২-১ গোলের রোমাঞ্চকর এক জয় পেলো ইংল্যান্ড। এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মত তাঁরা জায়গা করে নিলো ফাইনালে।
আগের আসরে ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হেরে শূণ্য হাতে বাড়ি ফিরেছিল ইংলিশরা। সেটার প্রতিশোধ নেয়ার সময় আসলো এবার, শক্তিশালী নেদারল্যান্ডসকে নাটকীয় এক দ্বৈরথে হারিয়ে স্পেনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হলো তাঁরা।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ইংল্যান্ড মাঝমাঠের ওপর সবচেয়ে বেশি ভরসা করেছে। দুইজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের পাশাপাশি দু’জন ওয়াইড মিডফিল্ডার খেলানো হয়েছিল; তাঁদের ঠিক সামনে ছিলেন আরো দু’জন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডস খেলেছে উইং-কেন্দ্রিক পরিকল্পনায়। নাম্বার টেন রোলে জাভি সিমন্সকে রেখে দুই পাশে দুই উইঙ্গার দিয়ে একাদশ সাজিয়েছিলেন কোম্যান।
তবে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিল ডাচরা, জাভি সিমন্সের অবিশ্বাস্য এক গোলে মাত্র সাত মিনিটের মাথায় এগিয়ে গিয়েছিল দলটি। কিন্তু হ্যারি কেইনকে আটকাতে গিয়ে ফাউল করে বসেন ডামফ্রিস, সেই সুবাদে পেনাল্টি পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। সেখান থেকে দলকে সমতায় ফেরান অধিনায়ক নিজেই।
এরপর অবশ্য লম্বা একটা সময় কিছুই হয়নি, ইংল্যান্ড কেবল একের পর এক পরীক্ষা নিয়েছে ডাচ রক্ষণভাগের। শেষমেশ ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে আসে মাহেন্দ্রক্ষণ, বদলি হিসেবে নামা অলি ওয়াটকিনস ইংলিশদের ভাগ্য বদলে দেন
কোল পামারের বাড়িয়ে দেয়া বল পেয়েই দুর্ধর্ষ এক শট নেন তিনি; তাতেই ফাইনালে জায়গা পেয়ে যায় থ্রি লায়ন্সরা। এখন অপেক্ষা আর নব্বই মিনিটের, এরপরই হয়তো অধরা ইউরো উঠবে কেইনের হাতে। সেজন্য অবশ্য কঠিন এক পরীক্ষা দিতে হবে তাঁর দলকে।