স্পেনের আক্রমণাত্মক ফুটবলের বিপরীতে ইংল্যান্ডের রক্ষণশীল বল দখলের লড়াই, দুই ভিন্ন ধারার ফুটবলের সাক্ষী হতে যাচ্ছে ইউরোপ। তাইতো ইউরোর ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে বেড়েছে উত্তেজনা।
এবারের ইউরোতে ভিন্ন এক স্পেনকে দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। তারুণ্য নির্ভর এই দল পরিচয় করিয়েছে গতিময় ফুটবলের সাথে। আবার ইংল্যান্ড খেলেছে অনেকটা রক্ষণশীলভাবে বল দখলের লড়াইয়ে। দুই দলই ভিন্ন ধারার ফুটবল খেলে পৌঁছে গিয়েছে ইউরোর ফাইনালের মঞ্চে। তাইতো উত্তেজনার পারদ অতিক্রম করেছে সীমানা।
ইংল্যান্ড-স্পেন উভয়েই অপরাজিত থেকেই পেয়েছে ফাইনালের টিকিট। তবে পুরো আসর জুড়ে বিপরীত ধরণের ফুটবল খেলেছে শিরোপা প্রত্যাশী এই দুই দল।
স্পেন, বুড়ো লা ফুয়েন্তের তত্ত্বাবধানে এই দল খেলেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। অ্যাটাক ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স- এই প্রবাদের বাস্তব প্রয়োগ ঘটিয়েছে প্রতি ম্যাচেই। দুই তরুণ নিকো উইলিয়ামস এবং লামিনে ইয়ামালের উপর ভর করে বাড়িয়েছে আক্রমণের ধার।
অন্য দিকে, ইংল্যান্ড দেখিয়েছে রক্ষণশীলভাবে বল দখলে রেখে কিভাবে ম্যাচ জেতা যায়। হ্যারি কেইন-জ্যুড বেলিহ্যামরা ছিলেন তুলনামূলক স্থির। কোচ গ্যারেথ সাউথগেটকে অবশ্য ম্যাচ জুড়ে স্থির থাকার মাশুলও দিতে হয়েছে। বেশ কিছু ম্যাচের ফল পেতে তাঁদের অপেক্ষা করতে হয়েছে অন্তিম মুহূর্ত পর্যন্ত। যদিও সেখানে ত্রান কর্তার ভূমিকা পালন করেছিলেন বেলিংহ্যাম।
তবে ফুটবলের মহলে দুই দেশের ভিন্ন ধারার খেলার ধরণ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। কেউ বলছেন আক্রমণাত্মক ফুটবল সর্বদা ফলপ্রসূ হয় না। আবার অনেকেই স্পেনের টিকিটাকা ফুটবল থেকে গতিময় ধারায় পদার্পণকে স্বাগতও জানিয়েছেন।
আক্রমণাত্মক নাকি রক্ষণশীল বল দখলের লড়াই? কোন ধারার ফুটবল আগামীতে রাজত্ব করবে ইউরোপের মাটিতে। সেই উত্তর জানতে হলে চোখ রাখতে হবে এবারের ইউরোর ফাইনাল ম্যাচে। তাছাড়া ভিন্ন ধারার খেলা একই সময়ে দেখতে মরিয়া হয়ে আছে ফুটবল বিশ্ব।