সব ঘাটের জল ঘোলা করে অবশেষে পুরনো ধারাতেই ফিরে গেল পাকিস্তান ক্রিকেট। সাম্প্রতিক সময়ের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার সব চেষ্টাই করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তাই সর্বশেষ মিটিংয়ে নেয়া হয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। যেখানে খেলোয়াড়দের এক বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তির নিয়মেই ফিরে গিয়েছে তাঁরা।
তিন বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তির নিয়ম চালু করা হয়েছিল গত বছর থেকে। তখন খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বাড়াতে পিসিবির সাবেক চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ বাধ্য হয়েছিলেন। এক বছর যেতে না যেতেই পুরনো নিয়মে ফিরে গিয়েছে পিসিবি।
পিসিবির সর্বশেষ মিটিংয়ে শৃঙ্খলাহীন খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, তাঁদের ফিটনেস এবং নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) নিয়েও আলোচনা করা হয়। এসব বিষয়ে আগের চেয়ে বেশি কঠোরতার সুর লক্ষ্য করা যায় পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভীর কন্ঠে। এছাড়াও খেলোয়াড়দের বেতন কাটার সিদ্ধান্ত থেকেও সরে আসেন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, ‘কেন্দ্রীয় চুক্তির মেয়াদ হবে এক বছর। প্রতি বছরই খেলোয়াড়দের ফিটনেস এবং পারফর্ম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে। তাঁদের ক্যাটাগরি নির্ধারণ প্রক্রিয়া একটি নির্দিষ্ট নিয়মে বাস্তবায়িত হবে।’ পিসিবি খেলোয়াড়দের ফিটনেস প্রতি তিন মাস পরপর পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা প্রত্যেকের জন্য বাধ্যতামূলক করে দেয়া হবে।
নাকভী ফিটনেস প্রসঙ্গে বলেন, ‘খেলোয়াড়দের প্রমোশন হবে তাঁদের পারফর্ম্যান্স এবং ফিটনেসের উপর ভিত্তি করে। এক্ষেত্রে কোনো আপোষ নেই।’
তাছড়া এনওসি’র ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়া করা হবে। যারা শর্ত পূরণ করবে তাদেরই এনওসি দেয়া হবে। শাহীন শাহ আফ্রিদি এবং মোহাম্মদ ইউসুফের মধ্যকার বিতর্ক প্রসঙ্গে কঠোর অবস্থান নেন নাকভী। তিনি হুশিয়ার করে বলেন, ‘এখন থেকে জিরো টলারেন্স নীতি মানা হবে, যারাই নিয়ম ভঙ্গ করুক না কেন। দলে কোনো গ্রুপিং চলবে না।’
ব্যর্থতার বেড়াজাল থেকে বের হতে পাকিস্তান ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া সময়ের দাবি ছিল। আর এখন তাঁদের এই নিয়ম কতটুকু বাস্তবায়িত হয় সেটাই দেখার বিষয়।