সবাই হয়ত ভাঙনের করুণ সুর ধরেছিলেন। কেননা ধারণা ছিল হার্দিক পান্ডিয়া হবে ভারত দলের পরবর্তী টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। কিন্তু নানা দিক বিবেচনায় সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়নি তাকে। সবাই তখন ভারত দলের দশা পাকিস্তানের মত হবে ভেবেছিল। কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়ারা অধিনায়কত্ব কে পেল তার চাইতেও বরং দল কি পেল দিকটায় বেশি মনোযোগ দিয়ে থাকেন।
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে পাকিস্তান দলেও অধিনায়কত্ব নিয়ে নাটক মঞ্চায়িত হয়েছিল। তাতে করে আখেরে গোটা দলেরই হয়েছে ভরাডুবি। গত দুইবার শিরোপার কাছে পৌঁছে যাওয়া দলটি, এই আসরে বাদ পড়েছে প্রথম পর্ব থেকেই। নিতান্তই হতাশাজনক।
ভারত টি-টোয়েন্টি দলে সুরিয়াকুমার যাদব অধিনায়ক হওয়ার পর, অনেকেই হয়ত ভেবেছিল ভারতও হয়ত এমন কোন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে। কেননা পুরোটা সময়জুড়েই যে রোহিত শর্মার বদলি হিসেবে ছিল হার্দিকের নাম। কার্যত হার্দিকের তাতে করে মন খারাপ হওয়ার কথা। সেই প্রভাব পড়ার কথা তার পারফরমেন্সে।
কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তেমন কোন কিছুর দেখা পাওয়া গেল না। উলটো নিজের ফিনিশার সত্ত্বার জানান দিলেন তিনি আরও একটিবার। বৃষ্টি-বিঘ্নিত দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ বলে ২২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে তিনি জানান দিলেন যে কোথাও নেই কোন মনমালিন্য। দলকে ম্যাচ জিতিয়ে তবে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। যদিও বল হাতে সময়টা খুব একটা ভাল যাচ্ছে না তার।
প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪১ রান হজম করেছিলেন তিনি। ছিলেন উইকেট শূন্য। সেই ম্যাচে ব্যাট হাতেও হয়েছিলেন ব্যর্থ। দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেটের দেখা পেয়েছেন বটে। তাও আবার দুইটি। কিন্তু এদিনও খরচের খাতায় রান উঠেছে বেশ। দুই ওভারে ২৩ রান হজম করেছেন তিনি। এটাই সম্ভবত ভাবনার জায়গা তার।
ইনজুরি এসে হানা দেয় মাঝে মধ্যেই, সেই সাথে পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা নেই- এই দুই কারণেই মূলত হার্দিককে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। হার্দিকের এখন আর অধিনায়কত্ব নিয়ে ভাববার সময় নেই। বরং তার ধারাবাহিকতার দিকে আরও বেশি মনোনিবেশ করা উচিত।