সোনার ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখার মতই প্রত্যাবর্তনের একটা গল্প লিখেছিলেন রিয়ান পরাগ; ধারাবাহিক ব্যর্থতা ঝেড়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সবশেষ আসরে নিজেকে নতুন করে চিনিয়েছেন তিনি, হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা রান সংগ্রাহকদের একজন।
পারফরম্যান্সের পুরষ্কারও দ্রুত ঝুটেছে তাঁর ভাগ্যে, ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা দেয়া হয়েছে তাঁকে। যদিও এই তরুণ সংক্ষিপ্ত ক্যারিয়ারে এখনো বলার মত কিছু করতে পারেননি।
৬ ম্যাচ খেলে ৬০ রানও করতে পারেননি এখনো, স্ট্রাইক রেটও আহামরি নয়। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দলীয় বিপর্যয়ের মুখে ক্যারিয়ার সেরা ২৬ রানের ইনিংস খেলেছেন বটে, তবে সেটা যথেষ্ট ছিল না।
এতকিছুর পরেও টিম ম্যানেজম্যান্ট তাঁর ওপর ভরসা রাখছে। এক্স ফ্যাক্টর হওয়ায় তাঁকে যে করেই হোক একাদশে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় তাঁরা। বিশেষ করে হেড কোচ গৌতম গম্ভীরের অন্যতম প্রিয় শিষ্য বনে গিয়েছেন এই ডানহাতি, আর সেজন্য শিভাম দুবেকে বাদ দিয়ে তাঁকে নিয়মিত একাদশে রাখা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, তাঁর বোলিংকেও কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর টিম ইন্ডিয়া। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে তিনিই তো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দিয়েছিলেন। মাত্র ১.২ ওভার হাত ঘুরিয়ে তিন তিনটি উইকেট ঝুলিতে পুড়েছিলেন।
বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় ম্যাচেও পুরো চার ওভার বল করেছেন এই তারকা – অর্থাৎ তাঁকে অলরাউন্ডার রূপেই দেখতে চায় ম্যানেজম্যান্ট। রিয়ান মানসিকভাবে শক্তিশালী, যেকোনো পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে জানেন। এমনকি একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার সামর্থ্য আছে তাঁর। তাই পূর্ণ মাত্রায় তাঁকে সুযোগ দেয়া হবে অবশ্যই।
কিন্তু, সেসব সুযোগ দ্রুত কাজে লাগানো শুরু করতে হবে তাঁকে – তা না হলে তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ ভারতীয় ক্রিকেটাঙ্গনে তিনি হয়তো হারিয়ে যাবেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজে রান পাননি, শ্রীলঙ্কা সিরিজেও একই চিত্র – এখন দেখার বিষয়, ড্রেসিংরুমের ভরসার হাত কতদিন এই প্রতিভাবানের ওপর থাকে।