ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামলেই বোধহয় দুনিথ ওয়েলেলাগের শিরা-উপশিরায় নাচন ধরে। তাই তো যখনই ভারতকে বাগে পেয়েছেন তিনি, তখনি বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন। এইতো চলতি সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বিপর্যয়ের মুখে অনবদ্য এক হাফসেঞ্চুরি করেছেন তিনি। নিঃসঙ্গ শেরপার মতই দলকে টেনে নিয়েছেন।
এর আগে গত এশিয়া কাপেই বল হাতে টিম ইন্ডিয়াকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন এই তরুণ। সুপার ফোরের ম্যাচে টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন অর্থোডক্স স্পিনে, সবমিলিয়ে সেদিন পাঁচ উইকট শিকার করেছিলেন তিনি। এরপর আবার ব্যাট হাতে অপরাজিত ৪২ রান করেছিলেন। ম্যাচ জেতাতে না পারলেও তাঁর পারফরম্যান্স মুগ্ধ করেছিলন বটে। রোহিত শর্মাদের তাই তাঁর প্রিয় প্রতিপক্ষ বলাই যায়।
এদিন অবশ্য বোলিং নয়, বরং এই বাঁ-হাতির ব্যাটিংটাই বেশি প্রয়োজন ছিল শ্রীলঙ্কার। ১৪২ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল দলটি, ২০০ রানের কাছাকাছি যেতে পারাও তখন অসম্ভব ঠেকছিল। তবে আট নম্বরে নামা ওয়েলেলাগে প্রতিরোধ গড়েন, লোয়ার অর্ডারকে সঙ্গী নিয়ে শুরু করেন অসম লড়াই।
শেষপর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৬৫ বলে ৬৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। এর মাঝে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার সঙ্গে ৩৫ রান এবং আকিলা ধনাঞ্জয়ার সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি হয় তাঁর। তাতেই স্কোরবোর্ডে জমা হয় ২৩০ রান, হয়তো ভারতকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়ার জন্য সেটা যথেষ্ট নয় তবে তাঁকে প্রশংসিত করতেই হয়।
এখনো পুরোদস্তুর অলরাউন্ডার নন এই তারকা, তবে লঙ্কানদের জন্য ঠিকই অলরাউন্ডার প্যাকেজ রূপে আবির্ভূত হয়েছেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটা করছেন কখনো ব্যাটার পরিচয়ে, কখনো আবার বোলার হিসেবে।
বয়স এখন মাত্র ২১ বছর, নিজেকে আরো শাণিত করার আরো তীক্ষ্ণ করার অফুরন্ত সময় হাতে আছে এই প্রতিভাবানের। এখন শুধু মনোযোগী হওয়ার পালা; প্রতিভার সঠিক পরিচর্যা করার পালা। তাহলেই হয়তো বিশ্বমানের আরেকজন অলরাউন্ডার পেতে যাচ্ছে লঙ্কা দ্বীপের বাসিন্দারা।