‘দ্য সিটি অব লাভ’ – প্যারিস। আর এই প্যারিসেই যখন হয়ে গেল অলিম্পিকের আসর তখন সেখানে ভালবাসাও তো নতুন ইতিহাস গড়তে বাধ্য। আর হলও তাই। সদ্য শেষ হওয়া অলিম্পিক গেমসে সাতটি বিয়ের প্রস্তাবের ঘটনা ঘটেছে। আর এটাও নাকি অলিম্পিকের এক আসরের রেকর্ড!
অলিম্পিক মানেই ক্রীড়াবিদদের প্রতিভা ও দক্ষতা প্রদর্শনের ক্ষেত্র। তবে, এবারের অলিম্পিকে ক্রীড়াবিদরা প্রমাণ করেছেন তাঁরা যথেষ্ট প্রেমমনষ্কও বটে। তাই তো অলিম্পিকের এই মঞ্চটাকেই তাঁরা প্রেম নিবেদনের আদর্শ ক্ষেত্র বলে মনে করেছেন বারবার।
ভালবাসার এই মিছিলের ফিতা কাটার কাজটা করেন আর্জেন্টাইন হ্যান্ডবল খেলোয়াড় পাবলে সিমোনেট। তিনি নিজ দেশের হকি খেলোয়াড় পিলার ক্যামপয়কে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটে এমন আরও ছয়টি ঘটনা। এর মধ্যে চীনের গোল্ড মেডেলিস্ট লিউ ইউচেন ঠিক অলিম্পিক সেরেমনির পরেই বিয়ের প্রস্তাব রাখেন হুয়াঙ ইয়া কিওঙ-এর সামনে।
এর ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ সংযোজন হলেন ইতালির জিমন্যাস্ট অ্যালেসিয়া মাউরেলি। তিনি প্রেমিক ম্যাসিমো বার্তেলোনির বিয়ের প্রস্তাব পান। অলিম্পিকে দলীয় জিমন্যাস্টিকসের আসরে তামা জয়ের পরই ম্যাসিমো এই কাণ্ড ঘটিয়ে সবাইকে চমকে দেন।
শুধু এই ভালবাসাই নয়, প্যারিস আবার ‘ল্যান্ড অব গ্যাসট্রোনমি’ নামেও পরিচিত। অলিম্পিকেও সেই প্রমাণ থেকেছে। এবারের আসরে প্রতিদিন চার হাজার পেস্ট্রি, ৬০০ টি ব্যাগেট ও তিন হাজারটি মাফিন সার্ভ করা হত অলিম্পিক ভিলেজে।
জ্যাভলিন থ্রোয়ের আরশাদ নাদিম কিংবা কোরিয়া দলের আর্চারির রেকর্ডের মাঝে এই ‘কীর্তি’গুলোও প্যারিস নি:সন্দেহে ভুলতে পারবে না! এর চেয়ে মধুরেণ সমাপয়েৎ আর কিই বা হতে পারে!