ফাইনাল খেললেই রিয়ালের জয় ‘অবধারিত’

রিয়াল মাদ্রিদ ফাইনাল খেলে না, রিয়াল মাদ্রিদ ফাইনাল জেতে – পৃথিবীর রং বদলে যেতে পারে, পাল্টে যেতে পারে বিজ্ঞানের তত্ত্ব; তবে এই কথাটার কোন নড়চড় হবে না। আটলান্টার বিপক্ষে উয়েফা সুপার কাপে সেটা আবারও প্রমাণিত হল। গত মৌসুমে ঠিক যে জায়গায় থেমেছিল, এবার ঠিক সেখান থেকেই শুরু করলো তাঁরা – বলা বাহুল্য, জায়গাটা শিরোপা মঞ্চ।

২০২৩/২৪ মৌসুমটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেই শেষ করেছিল স্প্যানিশ জায়ান্টরা, এবার জিতলো সুপার কাপও। লিগ টেবিলের লড়াই শুরুর আগে এমন জয় নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাসী ড্রেসিংরুমকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে; তাঁদের ট্রফির প্রতি ক্ষুধাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।

কিলিয়ান এমবাপ্পের অভিষেক ম্যাচ, বহুদিনের আরাধ্য তারকার অভিষেক ম্যাচে লস ব্ল্যাঙ্কোসরা ২-০ গোলে জয় পেয়েছে ইউরোপা লিগ জয়ীদের বিপক্ষে। গোল পেয়েছেন এমবাপ্পে নিজেও, জুড বেলিংহ্যামের বাড়ানো বল থেকে জোরালো শটে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন তিনি; সেই সাথে নিশ্চিত করেছেন নতুন ইতিহাস শুরুটা সবচেয়ে রঙিন ভাবেই হলো।

যদিও এদিন প্রতিপক্ষের জালের দেখা প্রথম পেয়েছেন ফেদেরিকো ভালভার্দে। ভিনিসিয়াস জুনিয়রের দুর্দান্ত ড্রিবলিঙের সৌজন্যে ফাঁকা পোস্টের সামনে বল পেয়ে যান ভালভার্দে, এরপর গোল আদায় করতে কষ্টই করতে হয়নি তাঁকে।

তবে পুরো ম্যাচে আলাদা করে যিনি নজর কেড়েছেন তিনি বেলিংহ্যাম, চির পরিচিত ‘নাম্বার টেন’ ভূমিকায় রীতিমত ত্রাস ছড়িয়েছেন। কখনো ডিফেন্স চেরা পাস দিয়েছেন, কখনো নিজেই বল নিয়ে ঢুকে পড়েছেন প্রতিপক্ষের রক্ষণে আবার পরক্ষণেই দৌড়ে এসে দলের ডিফেন্ডারদের সাহায্য করেছেন। তাঁর খেলা দেখে মনে হচ্ছিল স্বয়ং জিনেদিন জিদান নেমে এসেছেন সান্তিয়াগো বার্নাব্যুয়ের ময়দানে।

এই জয়ে অবশ্য রেকর্ড পাহাড়ের চূড়ায় উঠে এসেছেন লুকা মদ্রিচ, রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের কীর্তি এখন তাঁর পকেটে। এখন পর্যন্ত ২৭ বার চ্যাম্পিয়নের মেডেল গলায় পরেছেন তিনি; কি জানি, এই মৌসুমেই আরও ক’বার শিরোপা মঞ্চে উঠতে তাঁকে। যদিও সমর্থেকরা চাইবে একটা সুযোগও যেন হাতছাড়া না হয়!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link