টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে ডাক পেয়েছিল বাংলাদেশ হাইপারফরমেন্স ইউনিট; রিপন মন্ডল তখনি জানিয়ে দিয়েছিলেন টুর্নামেন্ট নিয়ে নিজের লক্ষ্যের কথা, অকপটে হুঙ্কার দিয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেট নিতে চান, হতে চান টুর্নামেন্ট সেরা – সেমিফাইনাল পর্ব শেষে নিজের কথা রেখেছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ১৩ উইকেট নিয়ে শীর্ষ উইকেটশিকারীর স্থানটা তাঁর দখলে।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলা, উইকেট দেখে পেসারদের চোখ যে চক চক করে উঠবে সেটা বলাই যায়। আর সেই পেসার যদি হন রিপন মন্ডলের মত আগ্রাসী তাহলে তো কথাই নেই; নিজের পেস আর বাউন্স দিয়ে ব্যাটারদের ওপর রীতিমতো রাজ করতে চাইবেন। এমন চাওয়া অবশ্য পূরণ হয়েছে, ধারাবাহিকভাবেই ব্যাটারদের শাসন করেছেন তিনি। সবশেষ নর্দান টেরিটোরির বিপক্ষেও আগুন ঝরেছে তাঁর বোলিংয়ে।
সবমিলিয়ে চার ওভার বোলিং করে ৩৬ রান খরচ করেছেন এই ডানহাতি, তবে তিন উইকেট নিয়ে সেটা পুষিয়েও দিয়েছেন আবার। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন, আর তাতেই ২১ রানের বড় জয় নিয়ে ফাইনালে উঠে এসেছে আকবর আলীর দল।
এর আগের ম্যাচগুলোতেও দুর্দান্ত ছিলেন এই পেসার, টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ এইচপি দলের উদ্বোধনী ম্যাচেই ১২ রান দিয়ে তিন উইকেট শিকার করেছিলেন এই পেসার। অস্ট্রেলিয়া ক্যাপিটাল টেরিটোরির বিপক্ষেও পেয়েছেন সমান সংখ্যক উইকেট। এছাড়া পার্থ স্কচার্সের বিপক্ষে মাত্র ১৯ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট।
ম্যাচ বাই ম্যাচ বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যায় রিপনের ধারাবাহিকতা, অধিনায়ক তাঁকে কতটা ভরসা করেন সেটাও স্পষ্ট হয়ে উঠে। অবশ্য করবে না কেন, যখনি বল হাতে নিয়েছেন তখনি ব্যাটারদের অন্তরাত্মা কাঁপিয়ে দিয়েছেন। এমন পেস সহায়ক উইকেটের পূর্ণ ফায়দা তুলে নিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ দলে এখন পেস বসন্ত চলমান, সেটার অংশ বলা চলে এই উদীয়মান তারকাকে। পাইপ লাইনে থেকে আপাতত নিজের শাণিত করে তুলছেন, জাতীয় দলে সুযোগ আসলে নিশ্চিত হাতছাড়া করবেন না তিনি।