বিতর্ক ছিল টেস্ট দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে, এরপর সংশয় জেগেছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে একাদশে রাখা হবে কি না তা নিয়েও – শেষমেশ তাঁর কাঁধে ভরসার হাতটা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট, আর সেটারই প্রতিদান তিনি দিলেন হাতেনাতে। বলছি সায়িম আইয়ুবের কথা, সতীর্থদের ব্যাটিং ব্যর্থতার মাঝে যিনি প্রতিরোধ গড়েছিলেন একাই।
বৃষ্টির কারণে বিলম্বে মাঠে গড়িয়েছিল বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান প্রথম টেস্ট; আগে বোলিং পেয়ে আর্দ্র পরিবেশে আগুন ঝরাতে ভুল হয়নি টাইগার বোলারদের। শুরুতেই আঘাত হেনেছিলেন হাসান মাহমুদ, এরপর যোগ দেন শরিফুল ইসলামও। একে একে আবদু্ল্লাহ শফিক, শান মাসুদ আর বাবর আজম ফিরে যান প্যাভিলিয়লে; স্কোরবোর্ডে তখন মাত্র ১৬ রান।
টপ অর্ডারের ভেঙে পড়ার দৃশ্যটা অন্যপ্রান্ত থেকে দেখছিলেন সায়িম, তারপর অবশ্য সৌধ শাকিলকে সঙ্গে নিয়ে খাদের কিনারায় পৌঁছে যাওয়াকে দলকে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেন তিনি।
পেসারদের স্বর্গ হয়ে উঠা বাইশ গজে এই বাঁ-হাতি দিয়েছেন চরম ধৈর্যের পরিচয়। তবে ভয়ে খোলসে ঢুকে পড়েননি, স্ট্রাইক রোটেট করে রানের চাকা ঠিকই সচল রেখেছিলেন। সবমিলিয়ে শাকিলের সঙ্গে ৯৮ রানের এক জুটি গড়েন তিনি, তাতেই দলীয় রান শতকের গন্ডি পেরোয় আর প্রথম হাফসেঞ্চুরির মাইলফলক যোগ হয় তাঁর ঝুলিতে।
অর্ধশতক পূরণের পর মনোযোগে খানিকটা ব্যাঘাত ঘটেছিল বোধহয়, সেজন্য হাসান মাহমুদের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন স্লিপে। টেস্ট ক্রিকেটে এমন ভুল মোটেই প্রত্যাশিত নয়, সেট হওয়ার কঠিন কাজটা করে ফেলার পর বড় ইনিংস খেলবেন একজন ব্যাটার এমনটাই থাকে প্রত্যাশা। তবে এই ওপেনার যা করেছেন সেটাকে সমালোচনার চোখে দেখাটা ভুলই হবে।
আরো ভাল কিছু করতে পারতেন ঠিকই, তবে এই তরুণ যা করেছেন সেটা অন্তত তাঁকে দলের নেয়ার সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক প্রমাণ করেছে। এবার পালা সমালোচনা বাদ দিয়ে পরামর্শ দেয়ার, ভুল ত্রুটি শুধরে তিনি পরিণত হয়ে উঠতে পারলে পাকিস্তান পাবে আরো একজন বিশ্বসেরা ব্যাটার।