চেলসি-লুকাকু, অটুট বন্ধন এখন গলার কাঁটা

চেলসি এদফা খুব করে চাইছে লুকাকুর একটা হিল্লে হোক। কখনো রোমা, কখনো ইন্টার মিলানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন লুকাকু। চেলসি থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে গিয়েও আবার ফিরেছেন স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে। তার আগে এভারটনেও ধারে খেলতে গিয়েছিলেন লুকাকু। 

এ যেন এক অটুট বন্ধন। ঠিক যেন কাটা কম্পাসের দু’টো কাটা। সেই ২০১১ সালে শুরু, এরপর চেলসি আর রোমেলু লুকাকুর বন্ধন যেন ছুটছেই না। ব্লুজদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন কোনভাবেই হচ্ছে না লুকাকুর। এবার অবশ্য চেলসি চাচ্ছে সমাপ্তি টেনে দিতে।

লুকাকুকে বিক্রি করতে চাইছে ক্লাবটি। ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলির সাথে দর কষাকষি করছে ইংলিশ ক্লাব চেলসি। খেলোয়াড়ে ঠাসা চেলসি চাইছে না দলের বোঝায় পরিণত হোক বেলজিয়ান স্ট্রাইকার। সে কারণেই তাকে বিক্রি করতে চাইছে ক্লাবটি। তবে নাপোলি বিপুল অংকের অর্থ খরচ করতে নারাজ।

তারা লুকাকুকে দলে নিতে চায়, তবে সেক্ষেত্রে তার বিক্রয় মূল্য পরিশোধ করতে চায় না। চেলসির পক্ষ থেকে ৩৭ মিলিয়ন পাউন্ডের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে নাপোলি তাতেও কোন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তারা ভিন্ন এক প্রস্তাব রাখবে চেলসির সামনে।

চেলসি এদফা খুব করে চাইছে লুকাকুর একটা হিল্লে হোক। কখনো রোমা, কখনো ইন্টার মিলানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন লুকাকু। চেলসি থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে গিয়েও আবার ফিরেছেন স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে। তার আগে এভারটনেও ধারে খেলতে গিয়েছিলেন লুকাকু।

চেলসিতে তিনি কখনোই লাগাতার খেলে যেতে পারেননি। চেলসির খেলোয়াড় হয়েও অধিকাংশ সময়ে তিনি গায়ে চাপিয়েছেন অন্য দলের জার্সি। আবার ফিরে গাঢ় নীল জার্সিতেও মাঠ মাতিয়েছেন। বেজায় বিচিত্র এক সম্পর্ক। চেলসিতে এসে তার ধারে খেলতে যাওয়ার গল্পের সূচনা কিন্তু বেশ পুরনো।

২০১২ সালে প্রথমবারের মত ধারে খেলতে তাকে পাঠানো হয় ইংলিশ ক্লাব ওয়েস্ট ব্রুমে। সেখান থেকে এসেই আবার এভারটনে যেতে হয়েছে তাকে। মাঝে পুরোপুরি ম্যানচেস্টার ইউনাটেডের হয়ে খেলেছেন কয়েক মৌসুম। সেখান থেকে আবার রেকর্ড ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে তাকে দলে নিয়ে আসে চেলসি। এখন তিনি বনে গেছেন গলার কাটা।

দীর্ঘ এক যুগের সময়ে তিনি অধিকাংশ সময়েই ছিলেন চেলসির পতাকাতলে। কিন্তু খেলেছেন ভিন্ন দলে। এই ১২ বছরের মধ্যে চেলসির হয়ে মোটে ৬৮টি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছিল বেলজিয়ান এই স্টাইকারের। নিজেকে সেভাবে প্রমাণ তিনি কখনোই করতে পারেননি। ২২ খানা গোল করেছেন তিনি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে, ভিন্ন ভিন্ন টুর্নামেন্টে। ধারাবাহিকভাবে চেলসির জার্সিতে গোল করবার সুখ্যাতিও নেই তার।

এসব কারণেই চেলসির বর্তমান বোর্ড তাকে আর দলে চাইছে না। তাছাড়া চেলসির পরিকল্পনা এখন বেশ বদলে গেছে। তারা বরং তরুণ খেলোয়াড়দের উপর বিনিয়োগ করতে চায়। জার্মান ক্লাব বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের আদলে যেন গড়তে চাইছে দলকে। তরুণদের ডানা মেলার সুযোগ করে দিতে চাইছে। এরপর তাদেরকে চড়া দামে বিক্রয় করবে অন্য সব ক্লাবে।

সে পরিকল্পনায় কোনভাবেই লুকাকুকে স্থান পান না। ঠিক সে কারণেই এবার হয়ত মায়া ত্যাগ করে লুকাকু-কে যেতে দিতেই হবে। শেষ অবধি লুকাকুর ভাগ্যের কি আছে, তা সময়ই বলে দেবে।

Share via
Copy link