জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান আর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পাওয়া দশটি টেস্ট জয় সরিয়ে রাখি একপাশে; খেলোয়াড়দের বিদ্রোহের কারণে ২০০৮ সালে তৃতীয় সারির দল নিয়ে খেলতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার ইতিহাসও আপাতত ভুলে যাই। বাকি নয় ম্যাচ জয়কে বড় জয় বলা যায়, কাগজে-কলমে কিছুটা পিছিয়ে থেকেও এসব ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ।
মজার ব্যাপার, এই নয় জয়ের মধ্যে ছয়টিতেই কোচ হিসেবে চান্দিকা হাতুরুসিংহে। অর্থাৎ টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের যে যৎসামান্য সাফল্য রয়েছে সেটার আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছেন তিনি। অথচ পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের পর তাঁর কোচ হিসেবে থাকাটা নিশ্চিত নয়!
র্যাংকিংয়ে থাকা শক্তিশালী ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কার পর এবার বাংলাদেশের কাছে হারলো পাকিস্তান। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ইংল্যান্ড আর পরের বছরের অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর জন্য স্পিন ট্র্যাক তৈরির বুদ্ধিটা হাতুরুসিংহে নিজেই দিয়েছিলেন বলে প্রচলিত আছে। এর মাঝে আবার তাঁকে ডাগআউটে রেখেই তাঁর দেশকে পরাজয় উপহার দিয়েছিল টাইগাররা।
স্টিভ রোডসের যুগে কেবল পূর্ণ-শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দু’বার হারিয়েছে বাংলাদেশ, আর রাসেল ডমিঙ্গোর অধীনে এসেছে ঐতিহাসিক মাউন্ট মঙ্গানুই জয়। এখন ঘরের মাঠে কিউই বধ এবং পাকিস্তানকে তাঁদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশের কীর্তি যোগ হলো হাতুরুর ঝুলিতে।
তবে বিসিবির পালাবদলে পাল্টে যেতে পারে এই লঙ্কান কোচের ভবিষ্যৎ। বর্তমান বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ দায়িত্ব পাওয়ার আগেই বলেছিলেন, ‘হাতুরুসিংহেকে কোচ রাখার প্রশ্নই ওঠে না।’ – ২০১৬ সালে তাঁর নির্বাচক থাকাকালীন দুজনের মাঝে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছিল। সেটারই সূত্র ধরে হয়তো বাংলাদেশের সফলতম কোচকে বিদায় করে দিবেন তিনি। এছাড়া হাতুরুর স্টাইল বাংলাদেশে চলে না বলেও মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।
সদ্য সাবেক বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নিজের প্রবল ইচ্ছেতেই নিয়োগ দিয়েছিলেন লঙ্কান কোচকে; এই ব্যাপারটিও তাঁর বিদায়ের কারণ হতে পারে। তবে এখনই নিশ্চিত নয় কিছু, বর্তমান বিসিবি বস কি সিদ্ধান্ত নেন সেটা সময় বলবে।