সর্বশেষ ইউরোতে জার্মানির সবচেয়ে সেরা পারফর্মার কে ছিলেন – এমন প্রশ্নে কোন চিন্তা ভাবনা ছাড়াই যে নামটা আপনি বলবেন সেটা জামাল মুসিয়ালা। দল প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও পাঁচ ম্যাচে তিন গোল করে ঠিকই ভরসার প্রতিদান দিয়েছিলেন তিনি। এবার উয়েফা নেশন্স লিগেও জ্বলে উঠতে দেখা গেল তাঁকে আর তাঁর উত্তাপে পুড়ে ছাই হয়েছে হাঙ্গেরি।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৫-০ গোলের জয় পেয়েছে মুসিয়ালার দল। আর সেখানে চার গোলেই অবদান রেখেছেন তিনি – অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করেছেন এদিন, সেই সাথে তাঁর পা থেকে এসেছে এক গোল।
টুর্নামেন্টের শুরুটা ভাল করার লক্ষ্যে ৪-২-৩-১ ছকে মাঠে নামে জার্মানি। ম্যানুয়েল নয়্যার অবসর গ্রহণ করায় গোলপোস্টের নিচে সুযোগ পান টার স্টেগান। আক্রমণভাগে দুই উইঙ্গার জামাল ও ফ্লোরিয়ান উর্টজের সঙ্গে স্ট্রাইকার হিসেবে ছিলেন অভিজ্ঞ ফুলক্রুগ, এছাড়া কাই হাভার্টজ খেলেছেন নাম্বার টেন রোলে। আর তাতেই হয়েছে বাজিমাত।
এই চারজনের প্রত্যেকেই গোলের দেখা পেয়েছেন, শুরুটা ফুলক্রুগকে দিয়েই। বায়ার্ন তরুণ নিজে গোল করার চেষ্টা না করে বল ঠেলে দেন তাঁর দিকে, সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি। বিরতির পর অবশ্য মুসিয়ালা পেয়ে যান দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরষ্কার। দু’জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ান তিনি।
মিনিট দশেক পরে এবার উর্টজের গোল, জয় তখন নিশ্চিত হয়ে যায় নাগেলসম্যানের শিষ্যদের। তবু থামেনি তাঁরা, উল্টো আলেক্সান্ডার পাভলোভিচ ব্যবধান বাড়ান ৭৭ মিনিটের সময়। পুরো ম্যাচ জুড়ে বারবার গোল মুখে গিয়ে হতাশ হওয়া হাভার্টজ এর পরপরই নাম লেখান স্কোরবোর্ডে।
হাঙ্গেরির অবস্থা তখন ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি। শেষমেশ রেফারির বাঁশি বেজে উঠলে রক্ষে পায় তাঁরা। যদিও নিজেদের লক্ষ্য ততক্ষণে পূরণ করে ফেলেছিল জার্মানি, প্রত্যাশার চেয়ে ভাল সূচনা পেয়েছে তাঁরা।