বোর্ড সভাপতি বলেছিলেন, টেস্ট ক্রিকেটে ভাল করতে পারেন রিশাদ হোসেন। রিশাদকে নিয়ে বাংলাদেশের ভাবনার গণ্ডি কতদূর – বোঝা যায় এটুকুতেই। সত্যি, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত তারকার নাম এখন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।
তবে, টেস্টের সাদা পোশাক নয়। সীমিত ওভারের ফরম্যাটেই সবটা নজর এখন রিশাদের। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। আর এরই ধারাবাহিকতায় তাঁর সামনে বেশ কয়েকটা চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।
জীবন বদলে যেতে খুব বেশি সময় লাগে না। জীবন বদলে ফেলতে কার্যকর কিছু মুহূর্তই যথেষ্ট। বড় গলায় কথাগুলো বলতে পারেন রিশাদ হোসেন। স্রেফ একটা বিশ্বকাপের আসর দিয়েই জীবনটা আমূল পাল্টে গেছে তাঁর।
বলাই বাহুল্য, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রিশাদের নাম ছিল একেবারেই অপরিচিত। সেখানে তিনি সাত ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। বিশ্বকাপ জুড়ে হয়েছেন প্রশংসিত। কবজির জাদু দিয়ে নিজেকে পরিচিত করেছেন বিশ্বব্যাপী।
এরই ধারাবাহিকতায় তাঁর কদর বাড়তে থাকে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। বিশ্বকাপের পরই গ্লোবালা লিগ টি-টোয়েন্টি থেকে ডাক এসেছিল। যেতে পারেন ভিসা জটিলতায়।
এরপর প্রথমবারের মত নিলাম থেকে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে রিশাদকে নেয় বিগ ব্যাশের দল হোবার্ট হারিকেন্স। স্বয়ং রিকি পন্টিংয়ের রেসিপি মেনে রিশাদের দিকে হাত বাড়িয়েছে হোবার্ট। এরপর জিম আফ্রো টি-টেনেও ডাক আসে।
হঠাৎ করেই পাল্টে গেছে রিশাদের চারপাশ। সর্বশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে ছিলেন। তবে নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। ছোট্ট ক্যারিয়ারের পুরোটা জুড়েই ঘরোয়া ক্রিকেটের দলগুলো কখনওই নিয়মিত ভরসা রাখেনি রিশাদের ওপর।
সেই রিশাদের জন্য বিগ ব্যাশ তাই বিরাট একটা চমকের নাম। রিশাদ নিশ্চয়ই চমক দেখাতে চাইবেন বিগ ব্যাশের মঞ্চেও। তবে, চমক দেখানোর আরেকটা ক্ষেত্র তাঁর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
সামনেই ভারত সফর। দুই টেস্টের পর তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। আর ভারতীয় কন্ডিশনে টি-টোয়েন্টিতে একজন লেগ স্পিনার হয়ে উঠতে পারেন খুবই কার্যকর। ইতোমধ্যে গুগলিটাও আয়ত্ত্ব করে ফেলেছেন রিশাদ। আর লেজের ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলতে পারাটা তাঁর এক্স ফ্যক্টর।
অপেক্ষা কেবল এখন ভারতের। আর কে জানে, ভারতের বিপক্ষে ইতিবাচক পারফরম্যান্স তাঁর জন্য আইপিএলের দরজাও খুলে দিতে পারে!