ট্রাভিসের ব্যাটের আঘাতে স্যাম কারেন বিপর্যস্ত

পঞ্চম ওভারে জোফরা আর্চারের পরিবর্তে বোলিং প্রান্তে আসেন স্যাম কারেন। টি-টোয়েন্টি মেজাজে ফিরতেও হেডের সম্ভবত এতটুকু পরিবর্তনই যথেষ্ট ছিল।

১২ বলে ১৫ রান, ট্রাভিস হেডের ব্যাটিংয়ের বিচারে রীতিমতো টেস্ট ইনিংস। হেড সম্ভবত টি-টোয়েন্টিতে টেস্ট খেলতে পছন্দ করলেন না, ব্যাটে ঝড় তুললেন। সেই ঝড়ে তাল হারালো ইংলিশ বোলিং লাইন আপ। হেডের ঝড়ের সবথেকে বড় ঝাপটা গিয়েছে স্যাম কারেনের উপরে।

পঞ্চম ওভারে জোফরা আর্চারের পরিবর্তে বোলিং প্রান্তে আসেন স্যাম কারেন। টি-টোয়েন্টি মেজাজে ফিরতেও হেডের সম্ভবত এতটুকু পরিবর্তনই যথেষ্ট ছিল। প্রথম দুই বলেই দুই চার হাঁকিয়ে কারেনকে বোলিং আক্রমনে স্বাগত জানান হেড।

তৃতীয় বলে আর চার হাঁকিয়ে সন্তুষ্ট হওয়া গেল না, ছক্কা বৃষ্টির সূচনা এখান থেকেই। পুল, স্লগ, ড্রাইভ সবকিছুর দেখা মিলেছে পরের তিন বলে। কারেনের তখন ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি অবস্থা। ওভারের শেষ বলে সম্ভবত কারেন প্রতি কিছুটা দয়া করেই স্রেফ একটা চার হাঁকিয়েছেন ট্রাভিস হেড।

সব মিলিয়ে কারেনের ওভার থেকে আসে ৩০ রান। এক ওভারের ব্যবধানে হেডের রান বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ বলে ৪৫, হেড সুলভ রান বলা যেতে পারে। তবে, ট্রাভিস হেড এখানেই থেমে থাকেন নি। পরের ওভারে সাকিব মাহমুদকে ছক্কা হাঁকিয়ে পৌঁছে যান ব্যক্তিগত পঞ্চাশ রানে। পঞ্চাশ রান করতে হেডকে খেলতে হয় মাত্র ১৯ বল। শেষ পর্যন্ত ২৩ বলে ৫৯ রান করে সেই ওভারে সাকিব মাহমুদের বলেই কক্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ট্রাভিস হেড।

অর্থাৎ আউট হওয়ার আগে শেষ ১১ বলে হেডের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান। ৮ চার এবং ৪ ছয়ে সাজানো ইনিংসে, বাউন্ডারি থেকেই তিনি আদায় করেছেন ৫৬ রান।

২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে হেড সাত বার পাওয়ার প্লে এর মধ্যে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে সবথেকে বেশি, ১০ বার পাওয়ার প্লে’তে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ক্রিস গেইল। হেড কি গেইলের রেকর্ড এক বছরেই ভেঙে দিবেন?

Share via
Copy link