জাকের আলি কেন দলে? এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হচ্ছে- শরিফুল ইনজুরি আক্রান্ত তাই। তবে আবার প্রশ্ন আসবে বোলারের বদলে কেন ব্যাটার? ভারতের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে অতিরিক্ত ব্যাটার খেলাতে হতে পারে। তারপরও আবার প্রশ্ন আসতে পারে, কিসের ভিত্তিতে? এর উত্তর ঘরোয়া ক্রিকেটে জাকেরের পারফরমেন্স।
জাকের আলি অনিক, প্রথমবারের মত যুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট দলে। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের স্কোয়াডে জায়গা হয়েছে তার। যদিও আগে থেকেই ধারণা করা যাচ্ছিল, স্কোয়াডে যুক্ত হবেন তিনি। ভারতের বোলিং লাইন আপের কথা চিন্তা করেই একজন মিডল অর্ডার ব্যাটার বাড়ানো হয়েছে।
আর তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাবক হয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটে জাকেরের দারুণ ব্যাটিং। ৪৯টি চারদিনের ম্যাচ খেলেছেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার। এর মধ্যে চারটি সেঞ্চুরি রয়েছে তার নামের পাশে। পাশাপাশি ১৯টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন ডান-হাতি জাকের। ৪১ এর বেশি গড়ে ৬৩৭২ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ এ দলের হয়ে ১৭২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন পাকিস্তানের এ দলের বিপক্ষে।
ঠিক এসব কারণেই তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যদিও ব্যাটার জাকেরের সীমাবদ্ধতা রয়েছে অনেক। তার হাতে খুব বেশি শট নেই। লঙ্গার ভার্শন ক্রিকেটে উইকেটে টিকে থাকার জন্য উইকেটের চারিদিকে শট খেলতে পারাটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। যদিও ঠেকার কাজ চালিয়ে নেওয়ার মত সক্ষমতা রয়েছে তার।
তবে জাকেরকে সবচেয়ে বেশি বিপাকে ফেলতে পারে তার উইকেট কিপিং দক্ষতা। সেখানে ব্যাটার জাকের ঢের পিছিয়ে আছেন। যদিও তিনি প্রথম পছন্দ কিপার নন। তবুও দুর্বলতার সমাধান করার স্পৃহা দেখা গেছে তার মধ্যে। উইকেটের পেছনে রিয়্যাকশন টাইম কমিয়ে আনার অনুশীলন করতে দেখা গেছে তাকে।
মারকাটারি ব্যাটিংয়ের সুবাদে জাতীয় দলের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে যুক্ত হয়েছিলেন। সেখানে নামের প্রতি সুবিচার এখনও করতে পারেননি। এরই মধ্যে সাদা পোশাকেও ডাক চলে এসেছে। ভারতের মাটিতে সাদা পোশাকে অভিষেক কতটুকু রাঙিয়ে রাখতে পারেন তিনি, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।