বাংলাদেশের বিপক্ষে নেই টেলরও

চোটের কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে ইতিমধ্যে ছিটকে গেছেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। অধিনায়ককে হারানোর পর সিরিজ শুরুর আগে আরেকটি ধাক্কা খেলো নিউজিল্যান্ড। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে প্রথম ওয়ানডেতে খেলতে পারবেন না নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রস টেলর।

তবে কেন উইলিয়ামসন পুরো সিরিজের জন্য ছিটকে গেলেও নিউজিল্যান্ডের কোচ গ্যারি স্টেড আশাবাদী প্রথম ওয়ানডে শেষেই দলে ফিরবেন টেলর। কিউই কোচ জানিয়েছেন টেলরের চোট মারাত্মক কিছু নয়।

গ্যারি স্টেড বলেন, ‘এটা ছোট্ট একটা চোট। আমরা আশা করছি কিছু বিশ্রাম এবং রিহ্যাবিলিটেশনের  মাধ্যমে ক্রাইস্টচার্চে আবার ফিট রস টেলরকে পাব।’

নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে ২৩২ টি ওয়ানডে খেলেছেন রস টেলর। ২৩২ ম্যাচে দেশের হয়ে ৪৮.৪১ গড়ে ৫১টি হাফ সেঞ্চুরি ও ২১ টি সেঞ্চুরির সাহায্যে ৮৫৬৯ রান সংগ্রহ করেছেন এই ব্যাটসম্যান। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীও তিনি।

রস টেলর ও কেন উইলিয়ামসন এক সাথে ছিটকে যাওয়াতে ২০১৪ সালের পর এই দুজনকে ছাড়া ওয়ানডে খেলতে নামবে নিউজিল্যান্ড। ২০১৪ সালের পর নিউজিল্যান্ডের খেলা সব গুলো ওয়ানডে ম্যাচের একাদশেই এই দুজনের কেউ না কেউ ছিলেন।

টেলরের পরিবর্তে স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন মার্ক চ্যাপম্যান। ২০১৫ সালে হংকংয়ের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিলো চ্যাপম্যানের। ওয়ানডে অভিষেকেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ১২৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন চ্যাপম্যান।

এরপর হংকংয়ের হয়ে আর মাত্র দুটি ম্যাচ খেলার পর নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জমান এই ব্যাটসম্যান। নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে চার ম্যাচ খেললেও এখনো নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি চ্যাপম্যান। দল থেকে বাদ পড়ার পর টেলরের চোটে আবারো ডাক পেলেন তিনি।

এই সিরিজ দিয়েই দীর্ঘ দিন পর ওয়ানডে খেলতে নামবে নিউজিল্যান্ড। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার পর আর মাত্র চারটি ওয়ানডে খেলেছিলো কিউইরা। এরপর করোনার কারণে গত এক বছর হলো ওয়ানডে খেলার সুযোগ পায়নি নিউজিল্যান্ড।

আগামী ২০ মার্চ ডুনেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে সিরিজ। ২৩ মার্চ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে হ্যাগলি ওভাল, ক্রাইস্টচার্চে এবং ২৬ মার্চ শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে বেসিন রিজার্ভ,ওয়েলিংটনে।

ওয়ানডে সিরিজ শেষে ২৮ মার্চ সেডন পার্ক, হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। ৩০ মার্চ ম্যাকলিন পার্ক, নেপিয়ারে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শেষে ইডেন পার্ক, অকল্যান্ডে ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে শেষ টি-টোয়েন্টি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link