বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে বড় আয়োজনের পরিকল্পনা ছিলো ক্রিকেটে। জাতির জনকের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বোর্ডের সবচেয়ে বড় পরিকল্পনা ছিল বিশ্ব একাদশের সঙ্গে এশিয়া একাদশের দুটি ম্যাচ আয়োজন করা। যেখানে খেলার কথা ছিলো বিরাট কোহলি, কাইরন পোলার্ড, ফাফ ডু প্লেসিস, ক্রিস গেইল ও লাসিথ মালিঙ্গাদের মতো তারকা ক্রিকেটারদের। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে সব কিছু চূড়ান্ত হলেও মাঠে গড়ায়নি ম্যাচ দুটি।
গত বছরের শেষের দিকে দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরে বাংলাদেশ। আর করোনার কারণে মুজিব বর্ষের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
তাই আবারো আলোচনা শুরু হয়েছে ম্যাচ দুটি নিয়ে। আজ গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন তাঁরাও দ্রুত আয়োজন করতে চান টুর্নামেন্টটি এবং পরিকল্পনাও শুরু করেছে বোর্ড। তবে সব কিছু নির্ভর করছে দেশের করোনা পরিস্থিতির উপর।
পাপন বলেন, ‘আসলে যেটা হয়েছে যেহেতু এটা বাড়ানো হয়েছে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনটা। সেজন্য আমরা একটা আশার আলো দেখছি। হয়তো এটা আবার করা যেতে পারে। এর সঙ্গে সঙ্গে এটাও আমাদের মনে রাখতে হবে যে কোভিড পরিস্থিতি কিন্তু খুব খারাপের দিকে যাচ্ছে এখন। সেটাও আমাদের চোখে রাখতে হচ্ছে যে কোন দিকে যায় না যায়। তবে অবশ্যই আমাদের তো ইচ্ছা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই টুর্নামেন্টটা করা।’
পাপন আরো বলেন, ‘আসলে এই মুহূর্তে যে আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছে তা না। কিন্তু আমাদের তরফ থেকে একটা প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছি কখন কি করা যায়, কাদের সঙ্গে খেলা যায়, কি ধরনের খেলোয়াড় পাওয়া যেতে পারে। কোন সময় থেকে অ্যাভেলেবল থাকতে পারে এই সমস্ত বিষয়ে চিন্তা করেই আমরা একটা পরিকল্পনা তৈরি করছি। এটা হওয়ার পরে আমরা ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করব। তো আমাদের পরিকল্পনাটা ছিল এই মাসের শেষের মধ্যেই আমরা যোগাযোগ করতে পারব তাদের সঙ্গে।’
গত বছরের ২১ ও ২২ মার্চ মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। প্রথম দফায় ম্যাচ দুটি স্থগিত হলেও পুনরায় আবারো আয়োজনে ব্যাপারে আশাবাদী বিসিবি। তবে করোনার কারণে শঙ্কা থাকলেও বিসিবি সভাপতি নিশ্চিত করেছেন এখনই টুর্নামেন্ট বাতিল করার বিষয়ে ভাবছে না বোর্ড।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কারণ যেহেতু আমাদের কোন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কমে এসেছিল, তিনের নিচে কিন্তু এখন যেভাবে বাড়ছে তাতে করে তো একটু শঙ্কিত। অনেক দেশ কিন্তু লকডাউনে চলে গেছে আপনার হয়তো খেয়াল করেছেন সামনে কি হবে বলা মুশকিল। সে দিক দিয়ে চিন্তা করে আপনারা যদি বলেন একটু অনিশ্চিয়তা আছে। তবে এইটুক আপনাদেরকে নিশ্চিত করতে পারি যে যদি কোন সুযোগ পাই বা প্রথম সুযোগেই আমরা এই খেলাটা আয়োজন করে ফেলব।’