বাংলাদেশ দলের নতুন টিম স্পন্সর দারাজ

করোনা ভাইরাসের কারণে গত বছরের মার্চ থেকেই থমকে গিয়েছিলো বিশ্বের ক্রিকেটাঙ্গন। যার প্রভাব পড়েছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেটেও। দীর্ঘ বিরতির পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে বাংলাদেশ চারটি সিরিজ খেললেও পুরোপুরি সমাধান হয়েছিলো না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্পোরেট কার্যক্রম।

কারণ অনেক দিন হলোই স্থায়ী কোন টিম স্পনসর ছিলো না বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। এর আগে বিসিবির দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি ছিলো ইউনিলিভারের সাথে। ইউনিলিভারের সাথে বিসিবির চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে গত বছরের জানুয়ারিতে। চুক্তি শেষ হওয়ার পর আর নতুন করে চুক্তি করতে আগ্রহী হয়নি ইউনিলিভার।

এরপরই ৫০ কোটি টাকা মূল্যের টিম স্পনসরশিপ আহ্বান করে বিসিবি। কিন্তু তখন বিসিবির ডাকে সাড়া দেয়নি কোন প্রতিষ্ঠান। বিসিবি অন্তর্বর্তীকালীন স্পনসর দিয়ে চারটা সিরিজ চালানোর পর আবার দীর্ঘমেয়াদি স্পনসর চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়।

এবার বিসিবির ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ দলের নতুন দীর্ঘমেয়াদি পৃষ্ঠপোষক হয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজ বাংলাদেশ। আর দারাজের সিস্টার কনসার্ন হাংরিনাকি হয়েছে কিট পার্টনার।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি নিশ্চিত করেছে দারাজের সাথে তাদের চুক্তি হয়েছে ৭ এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এসময় ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সব ম্যাচও চুক্তির অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

শুধু বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলই নয়; এই চুক্তির অন্তর্ভুক্ত থাকবে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। মেয়েদের এবং ছেলেদের হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিট এবং পুরুষ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ও নারী অনূর্ধ্ব-১৯ দলও।

দারাজের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘বিসিবি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এক সংস্থার সঙ্গে জুটি গড়তে পেরে উচ্ছ্বসিত। আমি দারাজকে ধন্যবাদ দিতে চাই বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এগিয়ে এসে এটার সাথে যুক্ত হবার জন্য। আমি নিশ্চিত এটা শক্ত এক বন্ধন হবে যেহেতু আমাদের একই লক্ষ্য- বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাফল্য।’

ইউনিলিভারের সাথে চুক্তি শেষ হওয়ার পরের সিরিজে গত বছরের মার্চে জিম্বাবুয়ের সাথে স্পনসর ছিলো বেক্সিমকো গ্রুপের মালিকাধীন ডিটিএইচ আকাশ। এরপর করোনার কারণে স্থগিত হয়ে যায় বাংলাদেশের সব আন্তর্জাতিক সিরিজ। প্রায় এক বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে বাংলাদেশ দলের বিশেষ জার্সিতে স্পনসর ছিলো বেক্সিমকো।

আর সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্তর্বর্তীকালীন স্পনসর ছিলো অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি। বিসিবির সাথে এই এক সিরিজের জন্যই চুক্তি করেছিলো ইভ্যালি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link