খরুচে, তবে দাপুটে

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) নিজের তৃতীয় ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে সুযোগ পেয়ে মুস্তাফিজুর বল হাতে লাইন-লেন্থ ভালো রাখলেও শেষ ওভারের খরুচে বোলিংয়ে চার ওভারের স্পেল শেষে নিজের নামের পাশে এক উইকেট যোগ করলেও রান হজম করেন ৩৭টি। তাই শেষ অবধি বোলিং ফিগারটা সাদামাটাই মনে হচ্ছে বাঁ-হাতি এই পেসারের।

দলীয় চতুর্থ ওভারে ব্যক্তিগত প্রথম ওভার করতে আসেন ফিজ। নিজের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই রুতুরাজ গায়কড়কে কাটারের ভেলকিতে ক্যাচ আউটের ফাঁদে ফেলে নিজের প্রথম উইকেট শিকার করেন ফিজ। প্রথম ওভারে স্লোয়ার-কাটারে দুর্দান্ত বোলিং করেন তিনি। মাত্র তিন রান দেন ব্যক্তিগত প্রথম ওভার থেকে।

দলীয় সপ্তম ওভারে নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে আসেন ফিজ। তবে এই ওভারে ঠিক ভীত জমাতে পারেননি তিনি। সেই ওভারে এক চার ও এক ছয় আদার করেন ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলি। দু’টি অতিরিক্ত রান সহ নিজের দ্বিতীয় ওভার থেকে ফিজ দেন মোট ১৩টি রান। দুই ওভারে এক উইকেটের বিনিময়ে ১৬ রান দেন কাটার মাস্টার।

দলীয় ১৬ তম ও নিজের ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারে এসে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও রবীন্দ্র জাদেজাদের সামনে দুর্দান্ত বল করেন ফিজ। দুইটি ডট বলের সাহায্যে ওই ওভার থেকে মাত্র ছয় রান দেন তিনি। ডেথ ওভারে এসে দুর্দান্ত বোলিং করে রানের চাকা আরো মন্থর করে দেন ফিজ। তার করা প্রথম তিন ওভার থেকে ২৪ রানের বিনিময়ে নেন একটি উইকেট।

ইনিংস ও নিজের ব্যক্তিগত শেষ ওভারে বল করতে এসে প্রথম বলেই ইংল্যান্ডের স্যাম কুরানকে রান আউট করেন ফিজ। ইয়োর্কারে ব্রাভোকে পরাস্থ করেন প্রতি বলেই! প্রথম ৫ বল থেকে দেন মাত্র ৭ রান। কিন্তু ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে শেষ করেন ব্রাভো। শেষ ওভার থেকে ১৩ ও ৪ ওভারের স্পেল শেষে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৩৭ রান দেন মুস্তাফিজুর রহমান।

গত ম্যাচে বল হাতে ২৯ রানের বিনিময়ে ২ উইকেগ শিকার করলেও এই ম্যাচে কিছুটা খরুচে বোলিং করেন ফিজ। তবে বেশিরভাগ বল ই তিনি কাটার, ইয়োর্কার এবং স্লোয়ারের ভেলকি দেখিয়েছেন। বেশ কয়েকবার সুযোগ আসলেও সেগুলো উইকেটে পরিণত হয়নি দুর্ভাগ্যবশত!

পাঠক, মুস্তাফিজের আজকে ম্যাচের বোলিং পরিসংখ্যান দিয়ে তার পারফরম্যান্স বিচার করলে হয়তো ভুল করবেন। দু’টি ছয় আর একটি চার ছাড়া পুরো স্পেলেই দাপুটে বোলিং করেছেন এই বাঁ-হাতি পেসার। রান খরুচে করলেও ইয়োর্কার, স্লোয়ার আর কাটারের ভেলকিতে ব্যাটসম্যান মদের বেশ ভুগিয়েছেনও তিনি।

এ পর্যন্ত চলতি আইপিএলে তিনটি ম্যাচ খেলেছে রাজস্থান রয়্যালস, তিনটিতেই খেলেছেন মুস্তাফিজ। প্রথম ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকলেও পরের দুই ম্যাচে তিনটি উইকেট পেয়েছেন মুস্তাফিজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link