দম ফেলার ফুরসৎ নেই

কোনো ক্রিকেটার জাতীয় দলের এক-দুইটা ম্যাচ খেলার পর জাতীয় দলের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। কিংবা কোনো ক্রিকেটার বছরের পর বছর ধরে জাতীয় দলে নিয়মিত পারফর্ম করে যান। কোনো একটা ফরম্যাটে খেলেন লম্বা সময় ধরে।

প্রত্যেক ক্রিকেটারের স্বপ্ন থাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার। ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত পারফর্ম করে আবারো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জায়গা করে নেয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জায়গা করে নেওয়ার পর সেখানে টিকে থাকার লড়াইটা হয় সবচেয়ে কঠিন।

কোনো ক্রিকেটার জাতীয় দলের এক-দুইটা ম্যাচ খেলার পর জাতীয় দলের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। কিংবা কোনো ক্রিকেটার বছরের পর বছর ধরে জাতীয় দলে নিয়মিত পারফর্ম করে যান। কোনো একটা ফরম্যাটে খেলেন লম্বা সময় ধরে।

বাংলাদেশেও এমন কয়েকজন ক্রিকেটারকে পাওয়া গেছে। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচে একাদশে খেলেছেন এমন ক্রিকেটারদের নিয়ে খেলা ৭১ এর আজকের এই আয়োজন।

  • মুশফিকুর রহিম

মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে মিডল অর্ডারের অন্যতম ভরসার জায়গা তিনি।

বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ২০০৫ সালে এবং ওয়ানডে অভিষেক ২০০৬ সালে। এর পর থেকে জাতীয় দলের অপরিহার্য সদস্যে পরিণত হয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ দলের হয়ে টানা ৯২ ওয়ানডেতে একাদশে ছিলেন তিনি। যা কিনা যেকোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারের জন্য রেকর্ড। জুলাই, ২০১০ থেকে ডিসেম্বর, ২০১৬ এই সময়ের মধ্যে ইনজুরি, অফ ফর্ম কিংবা অন্য কোনো কারণে বাংলাদেশের কোনো ওয়ানডে মিস করেননি তিনি।

  • তামিম ইকবাল

বাংলাদেশের ক্রিকেটের সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। এছাড়াও রঙিন পোশাকে দুই সংস্করণেই বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি।

তামিমের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ২০০৭ সালে। এর পর থেকেই আস্তে আস্তে নিজেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট সেরা ব্যাটসম্যানে পরিণত করেছেন।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টানা ৮৫ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। অভিষেকের ম্যাচ থেকে ২০ জুলাই, ২০১০ পর্যন্ত ক্যারিয়ারের প্রথম ৮৫ ম্যাচে কোনো বিরতি ছাড়াই খেলেছেন তিনি। এই সময়ের মধ্যে ইনজুরি, অফ ফর্ম কিংবা অন্য কোনো কারণে দল থেকে বাদ পড়েন নি তিনি।

  • সাকিব আল হাসান

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার জাতীয় দলের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ টানা ৭৮ ম্যাচ খেলেছেন তিনি।

সাকিবের জাতীয় দলে অভিষেক ২০০৬ সালে। এরপর থেকে নিজেকে জাতীয় দলের সেরা ক্রিকেটারে পরিণত করেছেন। শুধু বাংলাদেশ ক্রিকেটে না আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেরা অলরাউন্ডারের পরিণত হয়েছেন।

আগস্ট, ২০০৮ থেকে মার্চ, ২০১২ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের কোনো ম্যাচ মিস করেননি তিনি।

  • আব্দুর রাজ্জাক

বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা স্পিনার ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে দুইশ উইকেট শিকারের রেকর্ডও তাঁর দখলে।

তিনি বাংলাদেশের হয়ে খেলেছিলেন ১৫৩ ম্যাচ। এর মধ্যে জাতীয় দলের টানা ৭৪ ওয়ানডেতে একাদশে ছিলেন তিনি।

মার্চ, ২০০৬ থেকে নভেম্বর, ২০০৮ পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে সবগুলো ম্যাচেই একাদশে ছিলেন তিনি।

  • মোহাম্মদ আশরাফুল

বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম তারকা ক্রিকেটার হলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। এক সময় বাংলাদেশের ম্যাচে আশরাফুল ভালো খেললেই বাংলাদেশ দল ভালো খেলতো।

কিন্তু নিজের প্রতিভার সম্পূর্ণ বিকাশ ঘটাতে পারেননি তিনি। এছাড়াও স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে পাঁচ বছর সবধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ ছিলেন তিনি।

বাংলাদেশের হয়ে ফেব্রুয়ারী, ২০০৭ থেকে ফেব্রুয়ারী, ২০১০ পর্যন্ত ৭১ ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ দলও খেলেছিলো মোট ৭১ টি ম্যাচ।

টানা একাদশের থাকার রেকর্ডে বাংলাদেশিদের মধ্যে পাঁচ নম্বরে অবস্থান করছেন মোহাম্মদ আশরাফুল।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...