ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী নীতি ভঙ্গের দায়ে বড় শাস্তি পেয়েছেন সাবেক শ্রীলঙ্কান পেসার নুয়ান জয়সা। আইসিসি তাঁকে ছয় বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে।
তিনি আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী আইনের তিনটি ধারা (আর্টিকেল ২.১.১, ২.১.৪ ও ২.৪.৪) ভঙ্গ করেছেন। আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশন এই নুয়ান জয়সার আন্তর্জাতিক ম্যাচে সরাসরি ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। জয়সা ম্যাচের সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারদেরও ফিক্সিংয়ের জন্য প্ররোচিত করেছেন।
জয়সার আরেকটি অপরাধ হল, প্রাথমিক তদন্তে তিনি নিজের দায় পুরোপুরি শিকার করেননি। তাঁর শাস্তি গত ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। এর অর্থ হল, শাস্তির প্রায় তিন বছর এরই মধ্যে কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি।
শুধু আইসিসি নয়, এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) তাঁর বিরুদ্ধে টি-টেন লিগে ইসিবির দুর্নীতি বিরোধী আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনে। ইসিবির হয়ে আইসিসি এখনো এই অভিযোগের তদন্ত চালিয় যাচ্ছে।
আইসিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যালেক্স মার্শাল বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার হয়ে ১২৫ টি ম্যাচ খেলা নুয়ান জয়সা প্রায় এক যুগ ধরে দুর্নীতি বিরোধী নানা সেশন কাটিয়েছেন আইসিসির অধীনে। ফলে, তিনি এই আইনগুলোর ব্যাপারে অবগত। একজন জাতীয় কোচ হিসেবে তাঁর অনুকরণীয় আদর্শ হওয়া উচিৎ ছিল। সেটা না করে তিনি দুর্নীতিবাজদের সাথে জড়িয়ে ফিক্সিং করার চেষ্টা করেছেন। এটা খেলাধুলার মূলনীতির চূড়ান্ত বরখেলাপ। আমরা কখনোই এটা বরদাস্ত করবো না।’
গেল বছর নভেম্বরে জয়সার বিরুদ্ধে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী কমিশন একটা স্বাধীন ট্রাইবুন্যাল গঠন করে। এর আগে ২০১৮ সালে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। তখন নিজের দোষ শিকার না করে শুনানিতে অংশ নেন জয়সা। আর সেখানেই তাঁর দোষ প্রমাণিত হয়।
বাঁ-হাতি পেসার জয়সা ১০ বছর খেলেছেন শ্রীলঙ্কা দলের হয়ে। এই সময়ে তিনি ৩০ টি টেস্ট ও ৯৫ টি ওয়ানডে খেলেছেন। উইকেট নিয়েছেন ১৭২ টি।
২০১৬ সালের পর থেকে জয়সা এই নিয়ে চতুর্থ লঙ্কান ক্রিকেটার যিনি দুর্নীতি বিরোধী কাজে সংশ্লিষ্টতার জন্য নিষিদ্ধ হলেন। ২০১৯ সালে নিষিদ্ধ হন, স্বয়ং সনাথ জয়াসুরিয়া। তিনি আইসিসির অ্যান্টি-করাপশন ইউনিটকে (আকু) তথ্য দিতে ব্যর্থ হন।
এর আগে ২০১৬ সালে নিষিদ্ধ হন সাবেক অফ স্পিনার জয়ানন্দ ওয়ার্নবিরা। সর্বশেষ কিছুদিন আগেই আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন সাবেক লঙ্কান দিলহারা লোকুহেত্তিগে।