‘কিতনে দহি খায়ে হো?’ শান্তকে এমন প্রশ্নই করছিলেন মোহাম্মদ সিরাজ। ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে তেমনটিই নিশ্চিত করা হয়েছে। চেন্নাই টেস্টের চতুর্থ দিনের সকালে জমে উঠেছে নাজমুল হোসেন শান্ত ও সিরাজের মধ্যকার দ্বৈরথ। শান্তকে উত্যক্ত করবার কোন সুযোগই হাতছাড়া করেননি সিরাজ।
৫১৫ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করছে তখন বাংলাদেশ। বাইশ গজে প্রায় থিতু হয়ে গেছেন নাজমুল শান্ত। অর্ধ-শত রান নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এমন এক সময় সিরাজের করা বাউন্সারে পুল শট খেলেন শান্ত। তাতে বাউন্ডারিও পেয়ে যান বাংলাদেশের অধিনায়ক। মূলত এরপরই সিরাজ ভিন্ন পন্থা বেছে নেন।
স্লেজিং ক্রিকেটেরই একটা অংশ। আর শান্তকে বল হাতে প্রলোভনের ফাঁদে ফেলতে ব্যর্থ সিরাজ। ঠিক সে কারণেই শান্তর মেজাজ ও মনোযোগ নষ্ট করবার রাস্তা বেছে নেন সিরাজ। প্রায় প্রতিটা বল শেষে এগিয়ে গেছেন তিনি শান্তর দিকে। কখনও হাত দিয়ে মুখ ঢেকে বলেছেন কিছু, কখনও আবার জার্সি দিয়ে আড়াল করেছেন নিজের মুখ।
জবাবে শান্ত স্রেফ স্মিত হাসিই দিয়েছেন সিরাজকে। শান্ত যেন জানান দিলেন, আজ আমার মনোযোগ এভাবে আর টলানো যাবে না। তবুও সিরাজ নাছোড়বান্দা, রাগিয়ে তুলতে চান শান্তকে। তাতে করে যদি ভুল করে বসেন শান্ত- সেটাই সিরাজের লক্ষ্য।
এখন অবধি তিন টেস্টে দুইবার শান্তকে আউট করেছেন সিরাজ। তাই তো টাইগার অধিনায়কের উইকেট এই দফাও তুলে নিতে চাইছেন সিরাজ। তাছাড়া সাকিব আল হাসানকে সঙ্গী করে একটা জুটি গড়ে ফেলেছেন শান্ত।
ভারতের জন্য তা ভীতিকর না হলেও, সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। তাই তো সিরাজরা চাইছিলেন শান্ত-সাকিব জুটির দ্রুত পতন।