লিওনেল মেসির গোল, সেই পুরনো দিনের মতনই

লিগে এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচ ড্র করেছে ডেভিড বেকহামের দল। নিজেদের শীর্ষস্থান এখনও অক্ষত আছে বটে, তবে নিয়মিত পয়েন্ট হারাতে থাকলে কি জানি মৌসুম শেষে কি হয়! গোলাপি জার্সিতে লিওনেল মেসির এটাই তো শেষ, স্মরণীয় করে রাখার ক্ষেত্রে একটু ভুলও করা যাবে না কিন্তু।

সার্জি বুসকেটস থেকে মার্সেলো ওয়েগান্ডট, অত:পর লিওনেল মেসি – ডি বক্সের বাইরে বল পেয়ে দুই ধাপ সামনে এগুলেন তিনি; প্রায় বিশ গজ দূর থেকে বাম পায়ের জোরালো শটে এবং বল জড়ালো জালে। এমন ট্রেডমার্ক দৃশ্য কত শতবার দেখিয়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার, কত শতবার বাম পায়ের জাদুতে বোকা বানিয়েছেন গোলরক্ষককে সেটার হিসেব এখন আর বোধহয় কেউ রাখেন না, কেবলই উপভোগ করেন।

চোট কাটিয়ে আটলান্টা ইউনাইটেডের সাথে ফিরেছিলেন মেসি, খেলেছিলেন দ্বিতীয়ার্ধের অর্ধেক সময়। পরের ম্যাচে নিউ ইয়র্কের বিপক্ষে পুরো ম্যাচই মাঠে ছিলেন, আর এই দুই ম্যাচে গোল না পাওয়াতেই নিন্দুকেরা বেরিয়ে আসতে শুরু করে, ফুরিয়ে যাওয়ার সুর তোলে আলোচনার টেবিলে।

রোজারিওর ছেলেটা অবশ্য এসবের ধার ধারেন না, তিনি সুযোগ খোঁজেন। এই যেমন কার্লট এফসির বিপক্ষে ৬৮ মিনিটের মাথায় পেয়েছেন পুরনো স্মৃতি পুনরাবৃত্তির সুযোগ আর সেই সুযোগ সম্ভাব্য সেরা উপায়েই কাজে লাগিয়েছেন। ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা ইন্টার মিয়ামি এদিন ম্যাচে ফিরেছিল তাঁর গোলের কল্যাণে।

কেবল গোলেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না এলএমটেন। আদর্শ নাম্বার টেনের মতই আক্রমণের সুতো হাতে ধরেছিলেন তিনি। ম্যাচের সর্বোচ্চ চারটি সফল ড্রিবল করেছেন, দুইবার গোলের সুযোগ করে দিয়েছেন, ফাইনাল থার্ডে পাস দিয়েছেন নয় বার! এছাড়া সাতটা ডুয়েল জয় প্রমাণ করে কতটা নিবেদিত হয়ে খেলেছেন মিয়ামি কাপ্তান।

এতকিছুর পরেও অবশ্য জিততে পারেনি দলটি। ১-১ গোলে ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাঁদের। ম্যাচের ৫৭ মিনিটের সময় সফরকারী স্ট্রাইকার ক্যারল সুইডারস্কি গোল আদায় করে নিয়েছিলেন। আর সেটার সুবাদে মূল্যবান এক পয়েন্ট পেলো কার্লট।

লিগে এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচ ড্র করেছে ডেভিড বেকহামের দল। নিজেদের শীর্ষস্থান এখনও অক্ষত আছে বটে, তবে নিয়মিত পয়েন্ট হারাতে থাকলে কি জানি মৌসুম শেষে কি হয়! গোলাপি জার্সিতে লিওনেল মেসির এটাই তো শেষ, স্মরণীয় করে রাখার ক্ষেত্রে একটু ভুলও করা যাবে না কিন্তু।

Share via
Copy link