অভিষেকেই গতির তাণ্ডব মায়াঙ্কের

লিকলিকে গঢ়নের তরুণ ভয় ধরিয়ে দিলেন বাংলাদেশের বুকে। নিজের অভিষেক ম্যাচের প্রথম ওভারেই তুলেছেন গতির ঝড়। বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসে ফাটল ধরিয়েছেন নিজের গতি দিয়ে। দূর্দান্ত অভিষেকে উইকেটশূন্য থাকবেন মায়াঙ্ক যাদব, তা কি আর হয়?

লিকলিকে গঢ়নের তরুণ ভয় ধরিয়ে দিলেন বাংলাদেশের বুকে। নিজের অভিষেক ম্যাচের প্রথম ওভারেই তুলেছেন গতির ঝড়। বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসে ফাটল ধরিয়েছেন নিজের গতি দিয়ে। দূর্দান্ত অভিষেকে উইকেটশূন্য থাকবেন মায়াঙ্ক যাদব, তা কি আর হয়?

মায়াঙ্ক যাদব, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে তুলেছিলেন গতির ঝড়। এরপর অবশ্য পড়েছিলেন ইনজুরিতে। ইনজুরি থেকে ফিরেই তিনি খেলতে নেমেছেন টিম ইন্ডিয়ার হয়ে। অভিষেক ম্যাচে নিজের ছাপ ফেলে গেলেন বাইশ বছরের তরুণ। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়। সেই হৃদয়কে ক্রিজে রীতিমত গেড়ে রেখেছিলেন মায়াঙ্ক।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের অভিষেক ম্যাচের প্রথম ওভারে মেইডেন আদায় করেন মায়াঙ্ক। উইকেট প্রাপ্তি ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। অবশ্য খুব বেশি সময় অপেক্ষাও করতে হয়নি তাকে। নিজের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই উইকেট পেয়ে যান মায়াঙ্ক।

তরুণ এই বোলারের দারুণ শুরুকে ধূলিসাৎ করতে চাইলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেই পরিকল্পনা থেকে তেড়েফুঁড়ে মারতে যান মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু ঘটেছে উল্টোটা। ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে আউট করেন, নবাগত মায়াঙ্ক।

সেই একটা উইকেটই জুটেছে তার কপালে। বাকিদের দূর্দান্ত বোলিংয়ের কল্যাণে তরুণ মায়াঙ্ক উইকেটের ট্যালিতে যুক্ত করতে পারেননি নতুন নম্বর। তবে নিজের আগমনী বার্তা বেশ জোরালভাবেই দিয়ে রাখলেন মায়াঙ্ক। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ২১ রান খরচা করেছেন। দূর্দান্ত ইকোনমিক্যাল বোলিং করেছেন নির্দ্বিধায় তা বলে দেওয়া যায়।

তাছাড়া গতিশীল বোলাররা সাধারণত রান খরচা করেন বেশি। সেই সাথে লাইন লেন্থেও ঝামেলা হয় তাদের। কিন্তু মায়াঙ্কের ক্ষেত্রে তেমন কিছুই দেখা যায়নি। বরং বেশ রিফাইন্ড রানআপে দারুণ লাইন ও লেন্থ বজায় রেখে বোলিং করে গেছেন তিনি। অঘটন না ঘটলে, তিনি টিকে যাচ্ছেন বহুদিনের জন্যে।

Share via
Copy link