লং অফ দিয়ে প্রথম ছক্কা। পরেরটাকে পাঠালেন লং অন দিয়ে সীমানার বাইরে। রিশাদ হোসেনের পরপর দুই বলে সুবিশাল দুই ছক্কা হাঁকিয়েছেন নিতীশ কুমার রেড্ডি। সেই ধারা বজায় রাখলেন তিনি পরবর্তী সময়েও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেই তুলে নিয়েছেন অর্ধ-শতক। দুর্দান্ত আরও এক প্রতিভার দেখা পেলে ভারত।
পাওয়ার প্লে-তে তিন উইকেট হারায় ভারত। রান তোলে মোটে ৪৫টি। অন্য যেকোন দলের ব্যাটাররাই খানিক চুপসে যেতেন। রান তোলার গতি কমিয়ে, ইনিংস বড় করতে চাইতেন। কিন্তু নিতীশের তেমন কোন পরিকল্পনাই ছিল না। স্পিনারদের পেয়েই যেন খেপে গেলেন ডান-হাতি এই ব্যাটার।
স্পিন বোলারদের পেলেই যেন অদ্ভুত এক শক্তি এসে ভর করে নিতীশের উপর। অন্তত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের পরিসংখ্যান সে কথাই বলে। ২০২৪ সালের আইপিএলে প্রায় ১৮১ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট চালিয়েছেন তিনি স্পিনারদের বিপক্ষে। স্পিনারদের বিপক্ষে বরাবরই হাতখুলে খেলতে পছন্দ করেন তিনি।
স্পিনারদের বিপক্ষে আইপিএলে তার খেলা বাউন্ডারি সে কথাই বলে। ৮ খানা বাউন্ডারির বিপরীতে ছক্কা হাঁকিয়েছেন ১৩টি। নিজের রেঞ্জের ভেতর বল পেলে, সেই বলকে বাউন্ডারির ওপারে নিয়ে ফেলতে বেশ পটু নিতীশ। বাংলাদেশের স্পিনারদের বিপক্ষে সেটাই করেছেন তিনি দিল্লীতে হওয়া দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে।
মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ- কেউ বাদ যাননি নিতীশ রেড্ডির প্রতাপ থেকে। ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ের কল্যাণে দলকে এনে দিয়েছেন বিশাল বড় সংগ্রহ। পরিণত ব্যাটার হিসেবেই তিনি এসেছেন জাতীয় দলে, সেটাই যেন প্রমাণ করেছেন। মাত্র ৩৪ বলে ৭৪ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে গেছেন তিনি ভারতের নীল জার্সিতে।
সাতটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন নিজের ইনিংসে, যার পাঁচটিই মেরেছেন স্পিনারদের বিপক্ষে। ২১৭ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটিতে চারটি চার মেরেছেন ডান-হাতি এই ব্যাটার। বাংলাদেশের পেসারদের দারুণ শুরুতে একাহাতেই মাটি চাপা দিয়েছেন নিতীশ।