উইকেট শিকারের শুরুটা করেছিলেন, রহমানুল্লাহ গুরবাজকে দিয়ে। সমাপ্তিও তিনি করতে চাইলেন। তবে ফজল হক ফারুকিকে লেগ বিফোরের ফাঁদে যথাযথভাবে ফেলতে পারেননি। তবুও একটা স্বস্তি-দায়ক দিন কেটেছে তাসকিন আহমেদের। চারটি উইকেট শিকার করেছেন তিনি, যার মধ্যে রয়েছে আবার দু’টি মহা গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
শারজাহ-তে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠায় আফগানিস্তান। স্লো উইকেটে দাঁড়িয়ে মোটামুটি একটা লড়াকু সংগ্রহ গড়তে চেয়েছিল আফগানিস্তান। কিন্তু সে পরিকল্পনায় শুরুতেই আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই তিনি প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন গুরবাজকে। মারকুটে এই ব্যাটার টিকে থাকলে তা বাংলাদেশের জন্য বাড়তি দুশ্চিন্তার উদ্রেক ঘটাতো।
অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দেওয়ার একটা বদ-অভ্যাস রয়েছে গুরবাজের। সেটা ভাল করেই জানা তাসকিনের। সেজন্যই ষষ্ঠ স্ট্যাম্প বরাবর ফুলার লেন্থে বল করেন। আর আউটসাইড এডজ হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন গুরবাজ।
এরপর অবশ্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে তাসকিনকে। মাঝে অবশ্য রানের ফোয়ারা ছুটেছে তার হাত থেকে। আফগান ব্যাটারদের কাবু করতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন তিনি। নিজের প্রথম ওভারে উইকেট পাওয়া তাসকিন পরবর্তীতে উইকেটের দেখা পেয়েছেন, ব্যক্তিগত ষষ্ঠ ওভারে।
ম্যাচের হাল ধরা গুলবাদিন নাইবকে ফেরান তিনি। পরিকল্পিত এক শর্ট বলে পরাস্ত করেন তিনি গুলবাদিনকে। শর্ট মিডউইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গুলবাদিন। এরপর কোটার শেষ ওভারে শতকের পথে থাকা, মোহাম্মদ নবীকে দেখিয়েছেন সাজঘরের পথ।
অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে দুর্দান্ত এক শর্ট বলে পরাস্ত করেন। ডিপ স্কোয়ার লেগে থাকা তানজিদ তামিম ক্যাচ লুফে নেন। তাতে করে আফগানিস্তানের সংগ্রহ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৮৪ রানে খেলতে থাকা নবী থাকলে হয়ত ২৫০ রানের গণ্ডি ছাড়িয়ে যেত আফগানদের সংগ্রহ। তাতে করে মানসিক একটা চাপের মধ্যে পড়তে হত বাংলাদেশকে।
সেই একই ওভারে ফুলার বলে তাসকিন বোল্ড করেন মোহাম্মদ গাজনাফরকে। হ্যাট্রিকের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। তবে এরপরের বলেই লেগবিফোরের আবেদন তোলেন তিনি। আম্পায়ার আউট দিলেও আফগানরা রিভিউ নেয়। তাতে জানা যায় কল্পিত বলের গতিপথ উইকেটের উপর দিয়ে চলে যেত।
তাতে করে মিস হয়ে যায় তাসকিনের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফাইফার। তবে দিনশেষে চারটি উইকেট যুক্ত হয়েছে তাসকিনের নামের পাশে। ৫৩ রান দেওয়া তাসকিন, উইকেট না পেলে তার বোলিং ফিগার হয়ে দাঁড়াত ভীষণ দৃষ্টিকটু। সে পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেলেন, ডান-হাতি এই ফাস্ট বোলার।