অবশেষে গোল আসলো, অবশেষে বৃষ্টি নামলো কিলিয়ান এমবাপ্পের মরুভূমিতে। কি একটা দুঃসময় কাটাচ্ছেন তিনি, সেই দুঃসময় পুরোপুরি না কাটলেও স্বস্তি হয়ে এসেছে গেতাফের বিপক্ষে গোলটা।
ম্যাচের তখন ৩৮ মিনিট, দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে জুড বেলিংহ্যাম পাস বাড়ালেন এমবাপ্পের উদ্দেশ্যে। দারুণ দক্ষতায় সেই পাস নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকেই শট নেন ফরাসি তারকা – গোলরক্ষকের আসলে তখন ঠেকানোর সুযোগ ছিল না, ঝাঁপিয়ে পড়েও ঠেকাতে পারলেন না।
বল জালে জড়ালো, তিনি দৌড়ে গেলেন মাঠের এক কোনায়। চিরচেনা উদযাপনে সমর্থকদের দিলেন আশার বাণী – এখন দেখার অপেক্ষা এই একটা গোল তাঁকে কতটা আত্মবিশ্বাসী করে তোলে, পরের সময়টাতে তিনি কতটা ধারালো হয়ে উঠেন।
গোলের দেখা পেয়েছেন আরেক তারকা বেলিংহ্যাম; পেনাল্টি স্পট থেকে একেবারে ঠান্ডা মাথায় গোল দিয়েছেন তিনি। এই নিয়ে লা লিগায় টানা তিন ম্যাচ গোল দেখা গেলো তাঁর পায়ে; আগের মৌসুমের বেলি-গোল শো ফিরে আসলো বুঝি।
যদিও স্বস্তির দিনে অস্বস্তি হয়ে এসেছে এই তরুণের চোট, বিরতির সময় তাঁকে উঠিয়ে নেয়া হয় তাঁকে। তবে এখন পর্যন্ত গুরুতর কোন খবর আসেনি, জানা গিয়েছে সতর্কতা হিসেবেই তুলে নেয়া হয়েছিল তাঁকে।
লিভারপুলের বিপক্ষে হার কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নড়বড়ে অবস্থা কোনটাই আসলে রিয়াল মাদ্রিদকে টলাতে পারেনি। প্রায় সত্তর ভাগ বল দখলে রেখে গেতাফেকে হারিয়েছে তাঁরা, ভাগ্য সহায় হলে গোলের ব্যবধানও বেশি হতে পারতো। তবে যা হয়েছে তাতেও ভক্তরা আনন্দ খুঁজে পাবে।
লা লিগায় রিয়াল আসলে ছুটছে আপন গতিতে, বার্সেলোনা যত হোঁচট খায় ততই যেন উজ্জীবিত হয়ে উঠে লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। এক ম্যাচ কম খেলে স্রেফ এক পয়েন্টে পিছিয়ে আছে তাঁরা – শীর্ষে উঠার জন্য তাই অপেক্ষা কেবল নব্বই মিনিটের।