বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত, আত্মসমর্পণের ছাপ চোখেমুখে; কি করে ফেললেন নিজেই বোধহয় বুঝতে পারলেন না ফেদেরিকো ভালভার্দে। একরকম তাঁর অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেই রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে দিয়েছেন গোরকা গুরুজেতা। অথচ মাত্র দুই মিনিট আগে সমতায় ফেরা রিয়াল তখনো জয়ের স্বপ্ন দেখছিল।
মাদ্রিদ সমর্থকেরা সবচেয়ে বেশি ভরসা করেন কার উপর? চট করে ভিনিসিয়াস জুনিয়র কিংবা জুড বেলিংহ্যামের নাম অনেকেই নিতে পারেন। কিন্তু, সত্যিটা আসলে ভিন্ন। ম্যাচের পর ম্যাচ রোবটিক স্টাইলে কেউ যদি পারফরম করে থাকেন তিনি ভালভার্দে।
কিন্তু দলের সেরা পারফরমারই ভুল করে বসেছিলেন অ্যাতলেটিকো বিলবাওয়ের বিপক্ষে। আর সেটার মাশুল দিতে হয়েছে পুরো দলকে। ৮০ মিনিটের সময় নিজেদের রক্ষণ ভাগে পাস দিতে গিয়ে বল হারান। আর কিছুই নয়, একটা গোলের বিনিময়ে সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেন।
অবশ্য এই মিডফিল্ডারকে কাঠগড়ায় তোলার আগে প্রশ্ন তোলা উচিত কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়েও। পেনাল্টি মিসের মেলা বসিয়েছেন যেন তিনি; লিভারপুলের বিপক্ষে পেনাল্টি মিসের পর এদিনও স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। চাইলে ঠিকই বেলিংহ্যামকে দিতে পারতেন শট নেয়ার দায়িত্ব, আগের ম্যাচেই তো দারুণ আত্মবিশ্বাসের সাথে বারো গজ দূর থেকে গোল করেছিলেন ইংলিশ তারকা।
কিন্তু সেটা আর হলো কই, এমবাপ্পে নিজে পেনাল্টি মারতে গিয়ে হাতছাড়া করেছেন সুযোগ। তাতেই ইতিহাস তৈরি হয়েছে স্পেনের বিলবাও শহরে। ২০১৫ সালের পর এই প্রথম লা লিগায় লস ব্ল্যাঙ্কোসদের হারাতে সক্ষম হয়েছে অ্যাতলেটিকো বিলবাও; মাঝের ১৮ ম্যাচের ১৩টিতেই জিতেছিল অল হোয়াইটরা, বাকি পাঁচ ম্যাচ শেষ হয়েছিল সমতায়।
অপ্রত্যাশিত এই পরাজয়ের সুবাদে বার্সেলোনাকে ছুঁয়ে ফেলার সুবর্ণ সুযোগ হারালো রিয়াল মাদ্রিদ। এক ম্যাচ কম খেলে আপাতত রিয়াল পিছিয়ে আছে চার পয়েন্টের ব্যবধানে। তবে পয়েন্টের হিসেব নিকেশের চেয়ে পারফরম্যান্সে গুরুত্ব দেয়া উচিত তাঁদের, কেননা এমন ছন্নছাড়া রূপ অব্যহত থাকলে শিরোপা ছাড়াই মৌসুম শেষ করবে তাঁরা।