রেকর্ড গড়ার জন্যই যার জন্ম- গাস অ্যাটকিনসন। ক্রিকেট ব্যাকরণে এর স্থান পাওয়াটা এখন সময়ের দাবি! কেননা ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে হ্যাট্রিক করে নতুন রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
বেসিন রিসার্ভে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের ২৮০ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ইংলিশ পেসারদের তোপের মুখে মাত্র ১২৫ রানেই গুটিয়ে যায় কিউইরা। হ্যাট্রিকসহ চার উইকেট তুলে নেন গাস অ্যাটকিনসন। এতেই ইতিহাসের পাতায় আবারও নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখলেন তিনি।
ওয়েলিংটনের এই বেসিন রিসার্ভ স্টেডিয়ামে টেস্ট ম্যাচ হচ্ছে ১৯৩০ সাল থেকে। কিন্তু এতবছরেও এই মাঠে ছিলনা একটা হ্যাট্রিকও। প্রায় শতবছরের সেই আক্ষেপটাই পূরণ করলেন তিনি। শনিবার সকালটা শুরু করলেন বল হাতে ঝড় তুলে, ধুঁকতে থাকা নিউজিল্যান্ডের শেষ তিন উইকেট পরপর তিনবলে তুলে নিয়ে তাদের কফিনের শেষ পেরেকটা মারেন তিনি।
শুরুটা ন্যাথান স্মিথের স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলে, মাঝের বলটায় ম্যাট হেনরিকে গালিতে ক্যাচ তুলিয়ে আর সবশেষে টিম সাউদিকে গুড লেন্থের বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে। এতেই দ্বিতীয় দিনশেষে পাহাড়সম লিডের পথে ইংলিশরা, দিনশেষ করেছে ৫৩৩ রানে এগিয়ে থেকে।
নিউজিল্যান্ডে হ্যাটট্রিক করা তৃতীয় পেসার তিনি, ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে হ্যাট্রিক করা ১৫তম ইংলিশ বোলার তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে তার যাত্রা মাত্র মাস পাঁচেকের। এরমধ্যেই করে যাচ্ছেন নিত্যনতুন রেকর্ড। চলতি বছরেই জুলাইয়ে লর্ডসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে প্রথম ইনিংসে সাত উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসে আবার পাঁচ উইকেট।
পরের মাসেই আবারও লর্ডসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাঁচ উইকেট, সাথে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি। লর্ডসের অর্নাস বোর্ডে ব্যাট, বল দুইখানেই নিজের নাম লেখানোর বিরল অনন্য রেকর্ড আছে তার। মাত্র ১০ টেস্টের ছোট্ট ক্যারিয়ারে ইতিমধ্যেই তুলে নিয়েছেন ৪৭ উইকেট, গড়টা ২৩.৪৬। গাস এখন মাঠে ঝড় তুলছে, তার ক্যারিয়ারের শেষে কত প্রতিপক্ষকে লণ্ডভণ্ড করবেন সেটাই ভাবনার বিষয়।
গাস যেন ক্রিকেট মাঠের ঘাসের মতোই- প্রথমে কোমল, পরে শত্রুর পায়ে কাঁটা। মাঠের প্রতিটি স্পেলে তার ঝলকানিতে ভবিষ্যতের রেকর্ডগুলোও যেন থরথর করে কাঁপে।