ঘরের মাঠে আগামী দুই বছরের সব সিরিজের জন্য চড়া মূল্যে সম্প্রচার স্বত্ত্ব বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ১৬১ কোটি টাকায় ২০২৩ সালের ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সম্প্রচার স্বত্ব কিনে নিয়েছে ব্যানটেক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজ দিয়েই ব্রডকাস্টার হিসেবে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশি মার্কেটিং এজেন্সি প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রির উন্মুক্ত নিলামে ১৯ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬১ কোটি টাকার ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দিয়েছিল বিসিবি। একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিড করায় এই ফ্লোর প্রাইসেই সম্প্রচার স্বত্ব পেয়ে যায় ব্যানটেক। নিলামে অংশ নেয়নি টি-স্পোর্টস ও গাজী টেলিভিশন।
তবে সম্প্রচার স্বত্ব না কিনলেও খেলা প্রচার করতে পারবে যে কোন টিভি চ্যানেল। সেক্ষেত্রে ব্যানটেকের কাছ থেকে সম্প্রচার স্বত্ব কিনে নিতে হবে সেই টেলিভিশনকে। ব্যানটেক সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করতে পারবে দেশি বিদেশি সব ধরণের টেলিভিশনের কাছেই। এই দুই বছরে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে ৭ টি টেস্টের সাথে ১৮ টি ওয়ানডে এবং ১৯ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে।
এর আগে ২০১৪ সালে ছয় বছরের জন্য গাজী টেলিভিশনের কাছে টিভি স্বত্ব বিক্রি করেছিল বিসিবি। গত বছরের মার্চে বিসিবির সাথে ছয় বছরের চুক্তি শেষ হয় গাজী টেলিভিশনের। কিন্তু এরপর আর চুক্তি নবায়ন করেনি বিসিবি। করোনা পরবর্তীকালে ক্রিকেট মাঠে ফিরলে সিরিজ ধরে ধরে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
সেই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে দেশের মাটিতে শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছিল বিসিবি। সেখানে গাজী টেলিভিশনের সাথে নিলামে অংশ নিয়েছিল টি স্পোর্টস ও ব্যানটেক। নিলাম থেকে মাত্র তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্টের জন্য ১৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকায় সম্প্রচার স্বত্ব কিনে নিয়েছিল ব্যানটেক।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৩ মে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। একই ভেন্যুতে ২৫ মে দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলার পর ২৮ মে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নামবে দুই দল। সিরিজের প্রতিটি ম্যাচই শুরু হবে ২.৩০ মিনিটে।