জাতীয় দলে এবাদতের প্রত্যাবর্তন চ্যালেঞ্জের মুখে

বাংলাদেশের পক্ষে শতকরা ৫৭.৫৩ উইকেট শিকার করেছেন পেসাররা। ঠিক কতটা ভাল অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের পেস ইউনিট সেটা নিশ্চয়ই আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

রেঞ্জ হিটিং অনুশীলন করছেন এবাদত হোসেন। মাঠের বাইরে ফেলেছেন বহু বল। কিন্তু তার মূল কাজটা বল হাতে, সেটা বেশ ভাল করেই জানা। তবে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বাংলাদেশ দলের বোলিং ইউনিট যে রয়েছে দূর্দান্ত ফর্মে। তিনি নিজের মুখেই প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিটের। তিনি বলেন, ‘আমার টিমমেটসরা খুব ভাল করতেছে, ফাস্ট বোলিং ডিপার্টমেন্টটা খুব ভাল করতেছে।’

সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিট দূর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। চলতি বছরে সাদা পোশাকে মোট ৮২টি উইকেট গিয়েছে পেসারদের পকেটে। ওয়ানডে ক্রিকেটে সংখ্যাটা ৪৩, আর টি-টোয়েন্টিতে ৮৯টি। অর্থাৎ এই বছরে বাংলাদেশের পক্ষে মোট ২১৪টি উইকেট বাগিয়েছেন পেস বোলাররা।

তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশি বোলারদের শিকার ৩৭২টি উইকেট। যার ২১৪টি উইকেট গিয়েছে পেসারদের পকেটে। অর্থাৎ বাংলাদেশের পক্ষে শতকরা ৫৭.৫৩ উইকেট শিকার করেছেন পেসাররা। ঠিক কতটা ভাল অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের পেস ইউনিট সেটা নিশ্চয়ই আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

পেসারদের এমন দারুণ বছরটা মাঠের বাইরেই কেটেছে এবাদত হোসেনের। ইনজুরির কারণে দীর্ঘদিন তাকে থাকতে হয়েছে খেলা থেকে দূরে। কিন্তু তিনি ফিরেছেন মাঠে। সাদা বলের টুর্নামেন্ট এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে তিনি মাঠে নেমেছেন নিজ বিভাগ সিলেটের হয়ে। পূর্ণ ছন্দে ফিরতে এখনও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। কিন্তু তবুও এনসিএলের পাঁচ ম্যাচে ১০টি উইকেট নিজের করে নিয়েছেন এবাদত। সেটাই যেন তার আগমনী বার্তা।

তবে প্রতিযোগিতায় ঠাসা বাংলাদেশের বোলিং ইউনিটে এবাদতের জন্যে জায়গা করাটা কঠিন কাজ। সেটা এবাদত জানেন। তাইতো সময় নষ্ট করছেন না তিনি। সিলেটের আউটার স্টেডিয়ামে তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন নিজের চেনা ছন্দ ফিরিয়ে আনতে। পাশাপাশি ব্যাট হাতেও যেন অবদান রাখতে পারেন, সেজন্যেও টুকটাক নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছেন।

জাতীয় দলের দ্বার উন্মোচিত হওয়ার আগে এবাদতকে নামতে হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের মঞ্চে। সেখানেই নিজের সামর্থ্য আরও একটিবার প্রমাণ করতে হবে এবাদতকে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা হয়নি এবাদতের। নিশ্চয়ই তিনি খুব করে চাইবেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লাল-সবুজের প্রতিনিধিত্ব করতে।

Share via
Copy link