চার ছক্কার খেলায় লাইমলাইট কেড়ে নিলো একটা মানবশিশু; না, ক্যামেরার ফোকাসে আসার জন্য মাঠে কিছু করতে হয়নি তাঁকে। মূলত পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার তৃতীয় ওয়ানডে চলার সময় স্টেডিয়ামে জন্ম হয়েছে একটা শিশুর। এমন অত্যাশ্চর্য ঘটনা আগে কেউ দেখেছে এই দাবি করতে পারার কথা নয়।
পাকিস্তান তখন ব্যাটিংয়ে, দারুণ ছন্দে ব্যাট করে যাচ্ছেন সায়িম আইয়ুব। ঠিক সেসময় স্টেডিয়ামে থাকা বড় মনিটরে ভেসে ওঠে অভিনন্দন বার্তা। সেখানে লেখা ছিল, ‘মিস্টার এবং মিসেস রাবেংকে বালরিংয়ে ছেলেসন্তান জন্ম উপলক্ষে অভিনন্দন।’
তবে গ্যালারিতে বা মাঠে বসেই রাবেং দম্পতি নিজেদের সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন এমনটা না কিন্তু। ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামের মেডিকেল সেন্টারে মা হয়েছেন মিসেস রাবেং। ক্রিকেট ইতিহাসে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে এই অভিজ্ঞতা কেবল ওয়ান্ডার্স স্টেডিয়ামেরই হয়েছে।
শুধু নতুন প্রাণ আগমন নয়, এদিন দর্শকেরা দেখেছে নতুন একটা জুটির সূচনা। ম্যাচ চলাকালীন সাইডলাইনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রিয়তমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন এক যুবক।
সেই প্রস্তাবে রাজিও হয়েছেন প্রোটিয়া তরুণী, সেজন্য আংটি পরিয়ে প্রতিজ্ঞার বন্ধনে আবদ্ধ হলেন দু’জনেই। পুরো গ্যালারি জুড়েই তখন আনন্দ ধ্বনি হয়েছে তাঁদের নিয়ে।
ক্রিকেট ইজ মোর দ্যান এ গেম – কখনো কখনো সেটা জীবনের প্রতিচ্ছবিও। সত্যি বলতে বাস্তব জীবনের সাথে খেলাটা এমনভাবে মিশে গিয়েছে যে সেটাকে আর আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম পাকিস্তানের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ এই কথাটাই যেন মনে করিয়ে দিল সবাইকে।