হয়েও হলো না, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ড্র করা লিভারপুল পারলো না জয়ের ধারায় ফিরতে। দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সে নটিংহ্যাম ফরেস্ট ঠেকিয়ে দিয়েছে তাঁদের, সত্যি বলতে দুই টেবিল টপারের দ্বৈরথ যেমন হাড্ডাহাড্ডি হওয়ার কথা ঠিক তেমনটা-ই হয়েছে।
মোহামেদ সালাহ অবশ্য হতাশ করেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে নিজের সবচেয়ে বাজে দিনটা পার করেছেন তিনি। প্রিমিয়ার লিগে এর আগে সবশেষে অক্টোবরে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে গোল বা অ্যাসিস্ট করতে পারেননি তিনি। প্রায় তিন মাসের বেশি সময় পর নটিংন্যাম ফরেস্টের বিপক্ষে ক্লিনশিট রাখতে দেখা গেলো তাঁকে। তাঁর ম্লান পারফরম্যান্সে লিভারপুলও রইলো জয়হীন।
মিনিটের কাঁটা দুই অঙ্কের ঘরে যাওয়ার আগেই আঘাত হানে নটিংহ্যাম; কিক অফ থেকে বলের দখল সফরকারীদের কাছে থাকলেও হুট করে কাউন্টার এটাকে ঠিকই জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়েছেন ক্রিস উড। যদিও উডের চেয়ে এই গোলে অবদান বেশি রেখেছেন অ্যান্থনি ইলাঙ্গা – তাতেই অসম্ভব একটা জয়ের স্বপ্ন উঁকি দিতে শুরু করে।
প্রথমার্ধের বাকি সময় মোহামেদ সালাহদের ঠেকিয়ে রেখেছিল স্বাগতিক ডিফেন্ডাররা। গোলরক্ষক ম্যাটজ সেলসকেও একাধিকবার পরীক্ষা দিতে হয়েছে, তবে দৃঢ়তার এ পরীক্ষায় তিনি জিতে গিয়েছেন ৯৫ নম্বর পেয়ে।
সবকিছু যখন প্রতিকূলে, দলের মেইনম্যান মোহামেদ সালাহ তখন ছায়া হয়ে খুঁজে চলছেন নিজেকে। স্বাভাবিকভাবেই বেকায়দায় পড়ে যায় অলরেডরা; ঠিক তখনই ত্রাতা হয়ে এসেছিলেন দিয়েগো জোতা। বদলি হিসেবে নেমে দলকে সমতায় ফেরান তিনি, তবে এরপর আর গোল হয়নি কোন দিকেই।
এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ ড্র করেছে লিভারপুল, নিজেদের শীর্ষ স্থান এখনো হুমকির মধ্যে না পড়লেও ব্যবধানটা কমে এসেছে। এখনই সময় সতর্ক হওয়ার, না হলে ঘটে যেতে পারে ভিন্ন কিছু। গত আসরের আর্সেনালের মতই হাতছাড়া হতে পারে শিরোপা।