বাংলাদেশের খেলা সর্বশেষ কয়েকটা সিরিজে নিয়মিত ঘটনা গুলোর একটি হলো ফিল্ডিং মিস করা। প্রায় প্রতিটা ম্যাচেই ক্যাচ মিস ও ফিল্ডিং মিসের খেসারত দিয়েছে বাংলাদেশ। তাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে নিজেদের ফিল্ডিং নিয়ে উদ্বিগ্ন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
গত জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াটওয়াশ করার পর তিন ফরম্যাটে পরের নয় ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। এই সময় এক মাত্র প্রাপ্তি বলতে শ্রীলঙ্কার সাথে একটি টেস্ট ড্র করা। তবে সেই ম্যাচেও একাধিক ক্যাচ হাত ছাড়া করেছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা।
তামিম মনে করেন ব্যাটিং ও বোলিং ব্যর্থতার থেকে ফিল্ডিং ব্যর্থতার জন্য বেশি ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। ক্রিকেট বিষয়ক গনমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে বাংলাদেশের অধিনায়ক জানিয়েছেন ফিল্ডিং ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে গত কয়েক দিন অনুশীলনে অনেক পরিশ্রম করেছেন তারা।
তামিম বলেন, ‘সম্ভবত এটি এমন একটি অংশ যেটা নিয়ে আমি সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। যদি আমাদের শেষ পাঁচ মাস দেখে থাকেন ফিল্ডিং হচ্ছে সেই অংশ, ব্যাটিং এবং বোলিংয়ের চেয়ে যার কারণে আমরা বেশি ম্যাচ হেরেছি। ঘরের মাঠে দুটি টেস্ট বা নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হারের মূলে ছিল। খেলার দিন আমরা সবাই কি করি সেটা দেখে সাবাই। তবে অনুশীলনে আমরা কি করি তা খুব কম মানুষই দেখেছেন। আমি মনে করি আমরা উন্নতি করার জন্য চূড়ান্ত অনুশীলন করেছি।’
তামিম নিজেও মানেন দলের সব ফিল্ডার দুর্দান্ত না হলেও বেশ কয়েক জন ভালো মানের ফিল্ডার রয়েছেন। তামিম মনে করেন সামর্থ্য অনুযায়ী তারা যদি একটা ক্যাচ ধরে, রান আউট করে বা ফিল্ডিং করে তবে সেটাই জয় পেতে সাহায্য করবে। কিন্তু তামিম জানিয়েছেন উন্নতি করলেও এই ভুল গুলো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে করেই যাচ্ছেন তারা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সবাই উন্নতি করতে চাই। তবে আমরা গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তে সেই ভুল গুলো করেই যাচ্ছি। অন্য প্রতিটি দলের মতোই আমিও অনুভব করি যে আমাদের সব ফিল্ডার দুর্দান্ত ফিল্ডার নয়। তবে আমাদের অনেক ভাল ফিল্ডার রয়েছে। আমাদের সামর্থ্য অনুসারে এটাই নিশ্চিত করতে হবে যে, যেই পজিশনে ফিল্ডিং করুক, তাদের সেরাটা দিক। তারা এই সুযোগ গুলো নিক। তারা একটি দুর্দান্ত ক্যাচ ধরুক, একটি দুর্দান্ত রান আউট করুক। আমরা যদি এটি করা শুরু করি তবে এটি আমাদের জয় পেতে আরও সহায়তা করবে।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৩ মে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। একই ভেন্যুতে ২৫ মে দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলার পর ২৮ মে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নামবে দুই দল। সিরিজের প্রতিটি ম্যাচই শুরু হবে ২.৩০ মিনিটে।