একের পর এক উইকেট পতন, যেন সামনে বিরাট কোনো দল বোলিং করছে। হায়দার আলী যিনি আগের দুই ম্যাচে কোনো উইকেট পাননি – এবার তিনি চার ওভারে মাত্র সাত রান দিয়ে নিলেন তিন উইকেট। এর মধ্যে একটা আবার দুই উইকেট মেইডেন। আগের দুই ম্যাচে তাও রান করেছিল বাংলাদেশ, এবার কোনমতে স্কোরবোর্ডে ১৬২ রান তুলতে পেরেছে দলটি।
ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ১৮ বলে ৪০ রান করলেন। কি দারুণ ভাবে ব্যাটে-বলে হচ্ছিল। মানে উইকেটে কোনো রকম ভীতি নেই – বাংলাদেশ নিজেদের উইকেট হারিয়েছে মনের ভয়ে। আরব আমিরাতের বিপক্ষে টপ অর্ডার বা মিডল অর্ডারের এত বাজে ব্যাটিং কার্যত সম্ভবই না।
প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ হোসেন ইমন গোল্ডেন ডাকের শিকার হন দ্বিতীয় ওভারেই। সেখান থেকেই বাংলাদেশের পতনের শুরু। লিটন দাসের সাথে তানজিদ তামিম হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন। সেটাও ব্যর্থ। ১০ বলে ১৪ রান করে লিটন ফিরলে, একই ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান তাওহিদ হৃদয়।
কোনো এক অজানা কারণে পাঁচ নম্বরে নামানো হয় শেখ মেহেদী হাসানকে। নয় বল খেলে মাত্র দু’টি রান করতে পারেন তিনি। ৫৭ রানের মাথায় ফিরেন তামিম। বাংলাদেশের ইনিংসে পঞ্চম আঘাত। মানে, বাকি চার ব্যাটার আর অতিরিক্ত খাত থেকে তখন পর্যন্ত রান হয়েছে মাত্র ১৭ টি।
একাদশ তম ওভারের শুরুতেই ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে শামিম হোসেন পাটোয়ারি ফিরে গেলে বাংলাদেশের মাথায় হাত । লাইন-লেন্থের যার ঠিক-ঠিকানা নেই সেই মাতিউল্লাহও এক ওভারে দুই উইকেট নেন।
একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াইয়ের চেষ্টা চালিয়ে যান জাকের আলী। ১৯ তম ওভার পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন। ৩৪ বলে ৪১ রান করে ফিরেন। তবে বাংলাদশের দুই লেজের দিকের ব্যাটার দেখালেন ব্যাটিংটা ঠিক কি করে করতে হয়। হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলামের জুটি স্কোরবোর্ডে যুক্ত করে স্রেফ ১২ বলে ৩৪ রান।
ব্যাটাররা যেখানে আরব আমিরাতের বোলারদের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ছে, সেখানে বোলাররা ব্যাট হাত ঘুরে দাঁড়ানোর মত সাহস দেখাচ্ছে। কি অদ্ভুত এক মানসিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে গোটা বাংলাদেশ দল। যেন সকল দায়িত্ব স্রেফ বোলারদের!