হেডিংলির মাঠ আশার আলো নাকি অভিশাপ

হেডিংলি মানেই ভারতের জন্য দুঃস্বপ্ন। এই মাঠে সাত টেস্ট খেলে ভারতের জয় মাত্র দুটিতে। সেই হেডিংলিতেই শুরু হতে যাচ্ছে ভারত-ইংল্যান্ড মহারণ! তবে ভারতের জন্য এই কঠিন কন্ডিশনে স্বস্তি জাগাচ্ছে ২০০২ সালের স্মৃতি। যেখানে রূপকথা লিখেছিলেন ভারতের তিন ব্যাটার।

হেডিংলি মানেই ভারতের জন্য দুঃস্বপ্ন। এই মাঠে সাত টেস্ট খেলে ভারতের জয় মাত্র দুটিতে। সেই হেডিংলিতেই শুরু হতে যাচ্ছে ভারত-ইংল্যান্ড মহারণ! তবে ভারতের জন্য এই কঠিন কন্ডিশনে স্বস্তি জাগাচ্ছে ২০০২ সালের স্মৃতি। যেখানে রূপকথা লিখেছিলেন ভারতের তিন ব্যাটার।

ইংল্যান্ডে একটা প্রচলিত কথা আছে—আকাশে যদি মেঘ থাকে, তাহলে টস জিতে আগে বল করাই বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু ২০০২ সালের সেই হেডিংলি টেস্টে, মেঘলা আকাশ দেখেও সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী। সময়ের বিপরীতে গিয়ে তিনি বেছে নিয়েছিলেন ব্যাটিং।

তাঁর এই সিদ্ধান্তে অনেকেই ভ্রু কুঁচকেছিলেন। কিন্তু যা ঘটেছিল, তা ভারতের টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম সেরা বিদেশের ইনিংস হয়ে ওঠে। শুরুতেই শেবাগের উইকেট হারায় ইন্ডিয়া। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে সঞ্জয় বাঙ্গার ও রাহুল দ্রাবিড় গড়েন ১৭০ রানের দুর্দান্ত এক জুটি।

বাঙ্গার আউট হওয়ার পর ব্যাট হাতে আসেন শচীন টেন্ডুলকার। দ্রাবিড়ের সঙ্গে দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন। দুজনেই তুলে নেন শতক।

এরপর দ্রাবিড় ফিরে গেলে শুরু হয় গাঙ্গুলীর ‘শো’। অধিনায়ক নিজেই খেলেন ঝড়ো ইনিংস, মাত্র ১৬৭ বলে করেন ১২৮ রান। আর শচীন থামেন ১৯৪ রানে। ভারতের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬২৮/৮।

এত বড় স্কোরের পর চাপেই পড়ে যায় ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে তারা অলআউট হয় মাত্র ২৭৩ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে কিছুটা লড়াই করে স্বাগতিকরা, নাসের হুসেইন করেন অসাধারণ এক শতক। কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না ম্যাচ বাঁচাতে। ভারত জয় পায় ইনিংস ও ৪৬ রানের ব্যবধানে।

২০০২ সালের সেই ম্যাচ ছিল সাহস, ধৈর্য আর শ্রেষ্ঠত্বের অনন্য উদাহরণ। এবার আবারও সেই হেডিংলিতেই ফিরছে ভারত। নতুন নেতৃত্ব, নতুন দল—তবে ইতিহাস থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইবে টিম ইন্ডিয়া।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link