বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বাদে নেই কোন মানসম্মত টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। সেই অপবাদ ঘুচিয়ে ফেলতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তাইতো এনসিল টি-টোয়েন্টিকে দিচ্ছে বিশেষ প্রধান্য। এনসিএল টি-টোয়েন্টি আসরকে ঘিরে বিসিবি নিয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। যা প্রমাণ করে, ঘরোয়া ক্রিকেটের এই সংস্করণটিকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে দেশের ক্রিকেট বোর্ড।
সম্প্রতি ম্যাচ ফি বাড়ানোর ঘোষণা এসেছে, যা শুধু খেলোয়াড়দের আর্থিকভাবে সহায়তা করবে না, বরং তাদের পারফরম্যান্সের মানও উন্নত করবে। বিসিবি কর্মকর্তাদের মতে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট আরও প্রতিযোগিতামূলক হবে এবং নতুন প্রতিভারা এগিয়ে আসবে। মাঠের মানোন্নয়ন, আম্পায়ারিং ব্যবস্থার উন্নতি এবং খেলোয়াড়দের সুবিধা বৃদ্ধিতেও নজর দিচ্ছে বোর্ড।
তারই প্রথম ধাপ হিসেবে বাড়ছে খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফি। বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, ‘আসন্ন এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে। প্রতি ম্যাচের জন্য ম্যাচ ফি ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৪০ হাজার টাকা করা হয়েছে।’
টুর্নামেন্টটির মান উন্নয়নের জন্য এবং ক্রিকেটকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে বাড়ছে ভেন্যুর সংখ্যা। গত বছর প্রথমবারের মতো আড়ম্বরের সাথে আয়োজিত হয়েছিল ছোট ফরম্যাটের আসরটি। সেবার শুধু সিলেটই ছিল ভেন্যু। তবে বিসিবি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাড়াবে ভেন্যুর সংখ্যা। উইকেটের মান এবং কন্ডিশন বিবেচনায় সিলেটের পাশাপাশি রাজশাহী ও বগুড়াতে অনুষ্ঠিত হবে এবারের এনসিএল।
আটটি বিভাগীয় দলকে নিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের এনসিএল টি-টোয়েন্টি। এবারের নতুন চমক ময়মনসিংহ বিভাগ। তবে ঢাকা মেট্রোর বদলি হিসেবে খেলবে ময়মনসিংহ। খেলার মান উন্নয়নে বিসিবি নজড় দিয়েছে খেলোয়াড়দের প্রতিও। মান বৃদ্ধিতে এবারের আসরে বিদেশি খেলোয়াড়দের খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। প্রতিটি দলে খেলবে সর্বোচ্চ দু’জন করে বিদেশি ক্রিকেটার।
এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নাামেন্টটির প্রতি বিসিবির এই সিরিয়াস মনোভাব দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। ম্যাচ ফি বৃদ্ধি এবং অনান্য সহায়ক পদক্ষেপ খেলোয়ড়দের করবে উৎসাহিত। ঘরোয়া ক্রিকেটের মান উন্নয়ন সহ প্রভাবিত করবে জাতীয় দলকেও।