বাংলাদেশের নারী ফুটবলে জেমস পিটার বাটলার যেন জাদুর কাঠি। তিনি যাতেই হাত দেন তাই যেন সোনা হয়ে যায়। রূপকথার নায়কের মতো আবির্ভূত হয়ে একপ্রকার বাংলার ফুটবলকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর চোখেই স্বপ্ন দেখছে গোটা বাংলাদেশ।
যুব স্তর থেকে শুরু করে জাতীয় দলের আঙিনা, বাটলারের পরিকল্পনায় সাফল্য ধরা দিচ্ছে সমান তালে। জাতীয় দল এবং অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে সাফ জয়, এএফসি উইমেনস এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন এবং র্যাঙ্কিংয়ে ২৪ ধাপ উন্নতি করে ১০৪ নম্বরে আসা—সবকিছুই স্বপ্নের মতো দেশের ফুটবল পাড়ায়।
দৃশ্যমান এই উন্নতি অবশ্য হুট করেই হয়নি। এর পেছনে কাজ করেছে বাটলারের গোছানো পরিকল্পনা, কঠোর পরিশ্রম আর খেলোয়াড়দের মানসিকতার পরিবর্তন।
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের দিকে তাকালে তাঁর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার এক বাস্তব উদাহরণ দেখা যায়। একজনকে কেন্দ্র করে তিনি কখনো গেম প্ল্যান সাজাননি, বরং শক্তিশালী ব্যাকআপ গড়ে তুলতে সুযোগ দিয়েছেন সবাইকে। তাই তো সাফে সাগরিকা নিষিদ্ধ থাকার পরেও ফরোয়ার্ডে তাঁর অভাব টের পেতে দেননি তৃষ্ণা রাণি।
প্লেয়ারদের আক্রমণাত্মক খেলার প্রতিও বাড়তি নজর দিয়েছেন তিনি। লং রেঞ্জ শট কিংবা সেট পিস নিয়ে কাজ করছেন। যার ফলস্বরূপ এই ফ্রি-কিক, কর্নার থেকেও গোল আদায় করতে শিখেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
তবে কথায় আছে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। উপরে উঠতে থাকলে পড়ে যাওয়ার শঙ্কাও তো থাকে। তাই তো মাটিতে পা রাখতে চাইবেন পিটার বাটলার। ধারাবাহিকভাবেই হাঁটবেন সাফল্যের পথে। হয়তো ভালো করেই জানেন, বাংলাদেশ ফুটবলের আবেগ জুড়ে তিনিও আছেন।

Share via: