বিতর্ক যেন সব সময় লেগেই থাকে সাকিব আল হাসানের নামের সাথে। ক্যারিয়ারের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিতর্কে জড়ানো এই অলরাউন্ডারের বিপক্ষে এবার অভিযোগ উঠেছে চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের জৈব সুরক্ষা বলয় ভাঙার। ইতোমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আজ (পাঁচ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি। আজ এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসেছিল ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিসিডিএম) ও বিসিবির কর্মকর্তারা।
বৈঠক শেষে সিসিডিএমের চেয়ারম্যান ও বিসিবি পরিচালক কাজী ইনাম জানিয়েছেন টুর্নামেন্টের আয়োজক সিসিডিএম ও বিসিবি বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে। এবং এই ঘটনার জন্য তিনি হতাশা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এমন ঘটনায় আমরা হতাশ। সিসিডিএম এবং বিসিবি বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। দল, ক্রিকেটার ও অফিসিয়াল নিরাপত্তা আমাদের কাছে সবার আগে। জৈব সুরক্ষা বলয় নিশ্চিত করতে আমাদের বড় পরিমাণে অর্থ ও শ্রম ব্যয় করতে হয়েছে।’
জানা গেছে ঘটনাটি শুক্রবারের। ছুটির দিনে মিরপুর স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে ঐচ্ছিক অনুশীলন করতে এসেছিলেন সাকিব। নেটে সাকিবকে বল করছিলেন মোহামেডানের দুই সতীর্থ আসিফ হাসান ও রুয়েল মিয়া। ঐ সময় সেখানে আরো দুজন নেট বোলারকে দেখা যায়।
ঐ দুজন ফোনে ছবি তুলছিলেন এবং নেট বোলারদের খুব কাছেই অবস্থান করছিলেন।
সেই নেট বোলার দুজনের পরিচয়ও মিলেছে। মাস্কো সাকিব ক্রিকেট একাডেমি থেকে এসেছিলেন সেই দুজন।
এবার শুরু থেকেই জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে সতর্ক আয়োজকরা। দুই দফায় যারা নেগেটিভ হয়েছিলেন তাদের চারটি হোটেলে জৈব সুরক্ষা বলয়ে রাখা হয়েছে। হোটেল গুলো হলো আমারি, ওয়েস্টিন, ফোর পয়েন্টস বাই শেরাটন ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল। আন্তর্জাতিক সিরিজ গুলোর মতোই জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করা হয়েছে তাদের জন্য।
গত বছর মাত্র এক রাউন্ড মাঠে গড়ানোর পর করোনার কারণে স্থগিত হয়ে যায় ডিপিএল। ডিপিএল স্থগিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বন্ধ হয়ে যায় দেশের সব ধরণের ক্রিকেট। এরপর বিসিবি দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট দিয়ে ক্রিকেট মাঠে ফেরালেও ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ আয়োজন করতে পারেনি। এবার সেটা পুনরায় আয়োজন করা হলেও সেটা করা হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে।