গোলাপী বলের সেরা তীরন্দাজ

টেস্ট ক্রিকেটে দিবারাত্রির ব্যাপারটা এসেছে ২০১৫ সাল থেকে। এর আগে চিরকাল দিনের আলোতেই খেলা হয়েছে সাদা পোশাকের ক্রিকেট।

২০১২ সালে আইসিসি প্রথম এই দিবারাত্রির টেস্টের অনুমোদন দেয়। এর তিন বছর পরে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার এক টেস্টে ম্যাচের মধ্য দিয়ে শুরু হয় গোলাপী বলের ক্রিকেটের যাত্রা। বয়স কম হলেও গোলাপী বলের টেস্টেও কিছু ক্রিকেটার করেছেন দারুণ সব কীর্তি। এই তালিকায় নজর দেয়া হয়েছে গোলাপী বলের ক্রিকেটে সেরা বোলিং ফিগার গুলোতে।

  • ইশান্ত শর্মা (ভারত)

২০১৯ সালে ভারত সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখানে বাংলাদেশ তিনটি ওয়ানডে ও দুইটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল। সেই সফরের দ্বিতীয় টেস্ট টি ছিল দিবারাত্রির টেস্ট। সেই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ইশান্ত শর্মা মাত্র ২২ রান দিয়েই নিয়েছিলেন ৫ উইকেট।

ফলে মাত্র ১০৬ রানেই অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে বিরাটের সেঞ্চুরিতে ৩৪৭ রান করে ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসেও ইশান্ত ৫৬ রান দিয়ে নেন চার উইকেট। ওই ম্যাচে ৭৮ রান দিয়ে মোট ৯ উইকেট নিয়েছিলেন ইশান্ত।

  • জেসন হোল্ডার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

ওয়েস্ট  ইন্ডিজের অধিনায়ক ও অলরাউন্ডারও আছেন আমাদের এই তালিকায়। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক ম্যাচে এই কীর্তি করেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। ওই টেস্টে আগে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করেছিল ২০৪ রান। সেটাও জেসন হোল্ডারের ৭৪ রানে ভর করেই।

তবে শ্রীলঙ্কা ব্যাটিং এ নামলে মাত্র ১৯ রান দিয়েই ৪ উইকেট তুলে নেন হোল্ডার। ফলে মাত্র ১৫৪ রানেই গুটিয়ে যায় দলটি। দ্বিতীয় ইনিংসেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখানে হোল্ডার। এবার ৪১ রান দিয়েন ৫ উইকেট তুলে নেন হোল্ডার। ফলে সেই ম্যাচে ৬০ রান দিয়ে হোল্ডারের উইকেট সংখ্যা ৯ টি।

  • দেবেন্দ্র বিশু (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের আরেক সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার ছিলেন বিশু। যদিও পরে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি এই ক্রিকেটার। ২০১৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে এক টেস্টে দারুণ বোলিং করে এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ক্যারিবীয় এই স্পিনার।

সেই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে বিশু নিয়েছিলেন মাত্র দুই উইকেট। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে জ্বলে উঠেন এই লেগি। মাত্র ৪৯ রান দিয়েই তুলেন নেন ৮ উইকেট। সবমিলিয়ে ওই ম্যাচে বিশু নিয়েছিলেন ১০ টি উইকেট।

  • প্যাট কামিন্স (অস্ট্রেলিয়া)

অস্ট্রেলিয়ার পেসার প্যাট কামিন্স আছেন আমাদের তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ঘরের মাঠের শ্রীলঙ্কার সাথে এই কীর্তি করেন কামিন্স। তাঁর বোলিং তোপে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৪ রানেই অল আউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।

কামিন্স ৩৯ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে আরো ধারালো হন এই পেসার। এবার মাত্র ২৩ রান দিয়েই তুলে নেন ৬ টি উইকেট। সবমিলিয়ে সেই ম্যাচে ৬২ রান দিয়ে ১০ উইকেট নেন এই পেসার।

  • অক্ষর প্যাটেল (ভারত)

তালিকায় সবার উপরে আছেন ভারতীয় স্পিনার অক্ষর প্যাটেল। এবছরের শুরুতে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই কীর্তি করেন প্যাটেল। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সেই টেস্টে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১১২ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৩৮ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল।

দ্বিতীয় ইনিংসেও ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপ ধবসিয়ে দেন এই স্পিনার। এবার ৩২ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। সবমিলিয়ে তিনিই গোলাপী বলের একমাত্র স্পিনার যিনি এক ম্যাচে নিয়েছেন ১০টির বেশি উইকেট।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link