‘আমার মতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের অনেক বড় কিছু হবে ও। সে ব্যাটে-বলে সত্যি খুব অসাধারণ। একই সাথে ফিল্ডিংয়েও সে দারুন। যদি সে ফিট থাকে এবং ঠিকভাবে খেলতে পারে তাহলে কয়েক বছরের মধ্যে সে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের অনেক বড় সম্পদ হবে।’ – কথাগুলো বলেছিলেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টেয়ার ক্যাম্পবেল, যাকে নিয়ে বলেছিলেন, তিনি হলেন জিম্বাবুয়ের সেই সুদিনের তুখোড় এক অলরাউন্ডার।
হ্যাঁ, অ্যান্ডি ব্লিগনট। যিনি হতে চেয়েছিলেন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের ল্যান্স ক্লুজনার। দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার ল্যান্স ক্লুজনার যেমন লোয়ার-মিডল অর্ডারে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও গতির ঝলক দেখাতেন। তেমনি ব্লিগনটও চেয়েছিলেন নিজেকে সেই ভূমিকায় মেলে ধরতে। অবশ্য দু’জনের মধ্যে বেশ মিলও আছে। ক্লুজনারের মতোই ফার্মে বড় হয়েছিলেন ব্লিগনট।
১৯২০ সাল থেকেই জিম্বাবুয়ের ছিভহু অঞ্চলে গবাদি পশুর খামার ছিলো ব্লিগনটের পরিবারের। এটা দিয়েই মূলত সংসার চলত তাঁর পরিবারের। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে ১ আগস্ট ব্লিগনটের জন্মের বেশ কিছু সময় পর সুযোগ-সুবিধার জন্য সেখান থেকে দেশটির রাজধানী হারারেতে চলে আসে তাঁর পরিবার।
ক্রিকেট, ফুটবল কিংবা রাগবি যে খেলাই হোক ঘন্টার পর ঘন্টা খেলে যেতেন ব্লিগনট। ব্লিগনটের যখন জন্ম দেশটিতে তখন স্বাধীনতা যুদ্ধ চলছিলো। সেই সময়ে ব্লিগনটকে দেখাশোনা করার জন্য ফার্মের এক ছেলেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই দেখভাল করা ছেলেটির সাথেই বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে ব্লিগনটের। খেলাধুলাও করতেন তাঁর সাথেই।
মারোন্দেরার কাছে এক বোর্ডিং স্কুলে পড়তো ব্লিগনট। সেখানে গ্রেড-৩ তে থাকাকালীন সময়ে তিনি ক্রিকেটের সাথে আরও ঘনিষ্ঠ হন তিনি। বেশিরভাগ সময়ই নিজের চেয়ে বেশি বয়সের ছেলেদের সাথে ক্রিকেট খেলতেন তিনি। স্লগে ব্যাটিং করে স্কুলের সতীর্থ বোলারদের উপর তান্ডব চালাতেন তিনি। ল্যান্স ক্লুজনারের মতোই শুরুতে শুধু লেগ সাইডে ব্যাট চালাতেন তিনি। পরবর্তীতে অনুশীলনের মাধ্যমে স্ট্রেইটেও খেলা আয়ত্তে আনেন তিনি।
গ্রেড-৪ এ থাকাকালীন প্রথম ফিফটি আর গ্রেড-৭ এ দেখা পান প্রথম সেঞ্চুরির। ছক্কা হাঁকানোর জন্য বেশ দ্রুতই পরিচিতি লাভ করেছিলেন তিনি। গ্রেড-৩ থেকে পেস বোলিংয়ের অনুশীলন শুরু করেন তিনি। গ্রেড-৪ এ থাকাকালীন স্কুল ক্রিকেটে হ্যাট্রিকও শিকার করেন তিনি।
পরবর্তীতে হাই স্কুলের প্রথম তিন বছর তিনি কাটিয়েছেন ফ্যালকন কলেজে। যেখান থেকে উঠে এসেছিলেন জিম্বাবুয়ের অনেক টেস্ট ক্রিকেটার। সেখানে তিন নম্বরে ব্যাটিং করতেন এবং দলে একজন জেনুইন অলরাউন্ডার হিসেবেই খেলতেন ব্লিগনট। ১৪ বছর বয়সে তাঁর স্কুল ক্রিকেটের এক ম্যাচে পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা হাকানোর কীর্তি গড়েন তিনি। অবশ্য শেষ বলে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন ব্লিগনট। এই ১৪ বছর বয়সেই স্কুল ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৪৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
অনূর্ধ্ব-১৩ দলের হয়ে ইংল্যান্ড সফরেও যান তিনি। সেখানে ম্যাচে ব্যাট হাতে অপরাজিত ৮২ রানের পর বল হাতে হ্যাটট্রিক সহ শিকার করেন ৭ উইকেট। সেখান থেকে সুযোগ পেয়ে যান অনূর্ধ্ব-১৫ দলে। একই সাথে তখন জাতীয় পর্যায়ে হকি এবং রাগবিও খেলতেন তিনি।
অল্প বয়সে শরীরে চাপ নিতে পারবেন না বিধায় পেস বোলিং থেকে শিফট করে প্রায় এক বছর লেগ স্পিন অনুশীলন করেন তিনি। লেগ স্পিনার হিসেবে ভালো করায় আশেপাশের অনেকেই তাকে লেগ স্পিনার হিসেবেই ক্যারিয়ার গড়ার উপদেশ দেন। তবে মনে মনে যে পেস বোলিংয়ের ছক কষে রেখেছিলেন তিনি!
সেই ঝোঁক থেকে বের হতে পারেননি ব্লিগনট। লেগস্পিন থেকে বেরিয়ে কিছুদিন পর আবারও শুরু করেন পেস বোলিং। স্কুল দলের হয়ে ক্রিকেট ছাড়াও হকি, টেনিস এবং স্কোয়াশ খেলতেন তিনি। তবে সবগুলোর মাঝে বরাবরই তাঁর সবচেয়ে প্রিয় ছিলো হকি। স্কুলে থাকলেও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কখনোই পছন্দ ছিলো না ব্লিগনটের। তবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় তিনি ও লেভেল শেষ করেছেন।
ধীরে ধীরে বয়সভিত্তিক দলে নজরকাঁড়া পারফরম্যান্স দেখাতে লাগলেন তিনি। এরপর ১৯৯৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনূর্দ্ধ-১৯ দলের সফরে জায়গা করে নেন তিনি। ১৯৯৬ এর শেষের দিকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ করে প্রথমবার ক্লাব ক্রিকেটে যুক্ত হন তিনি।
হারারে স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে ক্লাব ক্রিকেটের যাত্রা শুরু করেন ব্লিগনট। এক বছরের মধ্যেই ১৯৯৭ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন তিনি। অভিষেক ম্যাচেই ম্যাশনাল্যান্ডের পক্ষে তিন উইকেট শিকার করেন তিনি। এই তিন উইকেটের মাঝে ছিলো দুই জিম্বাবুইয়ান তারকা ক্রিকেটার গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার ও অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের উইকেট!
বয়সভিত্তিক দলে ব্যাটিংয়ে দাপট দেখালেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকের পর বোলিংয়ে বেশ দ্রুত উন্নতি করছিলেন তিনি। মাঝে কিছু সময় ব্যাট হাতে পারফরম্যান্সের গ্রাফটা ধীরে ধীরে নিচের দিকেই নামছিলো। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট একাডেমিতে ডাক পান তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ে ‘এ’ এবং ম্যাশল্যান্ডের হয়ে খেলতেন তিনি। এরপর ওই বছর জাতীয় ক্লাব লিগে হারারে স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে ১৪ উইকেট শিকার করে জায়গা করে নেন জিম্বাবুয়ের জাতীয় দলে।
১৯৯৯ সালে সিঙ্গাপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষিক্ত হন তিনি। তবে অভিষেকটা রঙিন করতে পারেননি তিনি। দলের হারের সাথে সাথে নিজের হতাশাজনক পারফরম্যান্স। অবশ্য সেবারই প্রথম এতো দর্শকের সামনে খেলতে নামেন তিনি।
এমনকি দর্শকদের চিৎকার-শোরগোল, উত্তেজনা এসবে তিনি বেশ অস্বস্তিও বোধ করছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শুরুটা আপন রঙে রাঙাতে পারেননি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজের চেনা ফর্ম ধরে রেখেছিলেন তিনি। অল্প সময়ের মধ্যেই তিন সেঞ্চুরি করে জায়গা করে নেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে।
প্রথম ম্যাচে অজি বোলারদের বিপক্ষে তিন ছক্কায় ২৭ রান করেন তিনি! ব্যাট হাতে কিছুটা ঝলক দেখালেও বল হাতে নিজেকে মেলে ধরতে পারছিলেন না তিনি। অবশ্য অজিদের বিপক্ষে দলের কেউই সেভাবে পারফর্ম করতে পারছিলেন না। এরপর ইনজুরিতে প্রায় এক বছর বাইরে ছিলেন সব ধরনের ক্রিকেট থেকে।
পরবর্তীতে সম্পূর্ণ ফিট না হয়েই জিম্বাবুয়ে ‘এ’ দলের হয়ে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান ব্লিগনট! যেখানে বাজে পারফরম্যান্সের পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ম্যাশল্যান্ড এ দলের হয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ খেলেন তিনি। ব্যাট হাতে ১৩৫ রান আর ১২ উইকেট শিকারের পরেও নির্বাচকরা তার উপর আস্থা দেখিয়ে সুযোগ করে দেন বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে।
২০০১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে সাদা পোশাকে অভিষিক্ত হন ব্লিগনট। প্রথম ইনিংসেই শিকার করেন পাঁচ উইকেট। ম্যাচে আট উইকেট শিকার করে রেকর্ড গড়েন তিনি! জিম্বাবুয়ের হয়ে অভিষেক টেস্টে সেরা বোলিং ফিগারটা এখনো তারই দখলে। এরপর থেকে টেস্ট ও ওয়ানডে দলে নিয়মিত মুখ ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান খালেদ মাসুদের মারা শটে বাউন্ডারিতে উড়ন্ত এক ক্যাচ ধরেন ব্লিগনট! ক্যারিয়ারের সেরা স্মৃতিময় ফিল্ডিং হিসেবে যেটি সবসময়ই গেঁথে থাকবে ব্লিগনটের মনে।
এরপর হারারেতে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মেইডেন টেস্ট ফিফটির দেখা পান তিনি। প্রথম ইনিংসে ২১৬ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্লিগনটের ৯২ রানে ভর করে ৫৬৩ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। মেইডেন সেঞ্চুরি থেকে মাত্র আট রান দূরে থাকতে বোল্ড হয়ে যান তিনি।
ম্যাচটি ড্র হলেও শেষ দিন বৃষ্টি বাগড়া না দিলে হয়তো জয়ের দেখা পেতো জিম্বাবুয়ে। এরপর ইনজুরিতে এক বছর কোনো ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। অবশ্য তাঁর কিছু টিমমেটদের মতে ব্লিগনট বিভিন্ন ব্যবসায় সহ মডেলিং নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। এমনকি আর ক্রিকেট খেলার ইচ্ছা নেই এমন উক্তিও করেন বলে শোনা যায়। যদিও পরবর্তীতে এসব নিছক মজা বলেই উড়িয়ে দেন ব্লিগনট।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে ২০০৩ এর শুরুর দিকে আবারো ক্রিকেটে ফেরেন তিনি। তখন অবশ্য তিনি আলেক্সান্ড্রা ক্লাবের হয়ে খেলছিলেন। ফিরেই সেখানে ২৩ রানে ৮ উইকেট শিকার করেন তিনি। এবং পরবর্তীতে লোগান কাপে মিডল্যান্ডসের বিপক্ষে মেইডেন ফার্স্ট ক্লাস সেঞ্চুরি করেন তিনি। যেখানে ছিলো নয়টি ছক্কা!
এরপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট দলে ফিরেই দুই ম্যাচ সিরিজে এক ফিফটির সাথে শিকার করেন দশ উইকেট। এমনকি ওই সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেও ফিফটি করেন তিনি! তবে ইনজুরিতে সিরিজের বাকি ম্যাচ থেকে ছিটকে যান ব্লিগনট।
জিম্বাবুয়ের হয়ে ট্রেভিস ফ্রেন্ড, হেনরি ওলোঙ্গা ছাড়া ৯০ মাইল ঘন্টায় বল করতে পারা বেশ অল্প কয়েকজনের মধ্যে একজন ছিলেন ব্লিগনট। ২০০৩ সালে ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের মাটিতে ফ্লিনটফকে ৯৩ মাইল ঘন্টায় বল করেছিলেন তিনি। হার-জিতের মাঝে বরাবরই তিনি ছিলেন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের ট্রাম্প কার্ড।
তবে, কিছুটা বিতর্কেও জড়ান তিনি! বোর্ডের বিপক্ষে গিয়ে বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার রাজ্যভিত্তিক দল তাসমানিয়ার সাথে দুই বছরের চুক্তি করেন তিনি। কিন্তু ইনজুরি আর ফর্মহীনতায় এক বছর বাকি থাকতেই তাঁর সাথে চুক্তি বাতিল করে তাসমানিয়া!
এরপর সেখান থেকে ফিরে আবারো জিম্বাবুয়ে দলে যোগ দেন তিনি। ২০০৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলার পর দল থেকে নিজের নাম সরিয়ে নেন ব্লিগনট! দুই সিরিজ বেতন-ভাতা না পাওয়ায় মূলত ক্ষোভ থেকেই এমন কান্ড করেন তিনি। সাবেক জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক টাটেন্ডা টাইবু তাঁকে দলে ফেরানোর চেষ্টা করলেও বকেয়া বেতন পরিশোধ না করলে তিনি ফিরবেন না বলেও জানিয়ে দেন। এরপর পাঁচ বছর জাতীয় দলে দেখা যায়নি তাঁকে! ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার হাইভেল্ড লায়ন্সের হয়ে খেলেন তিনি।
এরপর ২০১০ সালে দলে ফিরে ট্রাই নেশন কাপে ভারতকে সাত উইকেটে হারানোর ম্যাচে ১০ ওভারে ১ মেইডেন দিয়ে মাত্র ২২ রান দেন তিনি! অবশ্য ক্যারিয়ারটা সেখানেই থেমে যায় ব্লিগনটের। ক্রিকেট থেকে বিদায়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকায় পারিবারিক ব্যবসায়ে মনোনিবেশ করেন তিনি।
১৯ টেস্টে প্রায় ২৭ গড়ে ৬ ফিফটিতে করেন ৮৮৬ রান। ৫৪ ওয়ানডেতে ১৯ গড়ে ৫ ফিফটিতে করেন ৬২৬ রান। ওয়ানডেতে তার ১০৬ স্ট্রাইক রেট প্রমাণ করে তিনি কতটা আগ্রাসী ব্যাটিং করতেন! ১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে অবশ্য ৮ রান করেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টিতে ১৪৫ স্ট্রাইক রেট থাকার পরেও জাতীয় দলে এই ফরম্যাটে এক ম্যাচের বেশি খেলতে পারেননি তিনি!
অবশ্য বোর্ডের সাথে ঝামেলায় দল থেকে সরে না গেলে সুযোগ পেতেন ঠিকই। বল হাতে টেস্টে শিকার করেছেন ৫৩ উইকেট, যার মাঝে তিনবার নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। ওয়ানডেতে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট, এই ফরম্যাটে অবশ্য পাঁচ উইকেট শিকার করতে ব্যর্থ হন তিনি। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে তার ঝুলিতে আছে দুইশোরও বেশি উইকেট।
সাবেক জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার ট্রেভর পেনি, ব্লিগনটের স্কুল কোচ ব্যারি লেক, ডেভ হগটন সহ পেস বোলিংয়ে সাহায্য করা ডেনিস লিলি ও রবিন জ্যাকম্যানের প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন ব্লিগনট। যারা প্রত্যেকেই ক্যারিয়ারের কোনো না কোনো পর্যায়ে ব্লিগনটকে সমর্থন করেছিলেন। এছাড়া পুরো ক্যারিয়ারে নি:স্বার্থ ত্যাগের জন্য বাবার প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের এই ল্যান্স ক্লুজনার অল্প সময়েই ক্যারিয়ারে রেখে গেছেন বড় অবদান। যদিও, তাঁর ক্যারিয়ারটা কখনোই পূর্ণতা পায়নি সেই অর্থে।