ক্রিকেটার থেকে কমেন্টেটর হওয়ার তালিকাটা অনেক বড়। বিশ্বের অনেক ক্রিকেটারকেই আমরা অবসরের পর কমেন্ট্রিকে পেশা হিসেবে বেঁছে নিতে দেখেছি। বিশ্বের নানা প্রান্তে এতগুলো দলের খেলায় অনেক কমেন্টেটরই প্রয়োজন হয়। এছাড়া এখন ব্রডকাস্ট চ্যানেলও অনেক।
দীনেশ কার্তিককে আমরা দেখেছি খেলার পাশাপাশি কমেন্ট্রিও শুরু করেছেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরো কয়েকজন ক্রিকেটার আছেন যারা হয়তো অবসরের পর বেশ ভালো কমেন্টেটর হতে পারবেন। ফলে অবসরের পর যাদের কমেন্ট্রি বক্সে দেখা যেতে পারে তাঁদের নিয়েই এই আয়োজন।
- জেমস নিশাম (নিউজিল্যান্ড)
নিউজিল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর কার্যকারিতা দিয়েই নিজেকে পরিচিত করেছেন। তাঁর বড় শট খেলার ক্ষমতার জন্যই পরিচিত এই ক্রিকেটার। তবে ক্রিকেট নিয়ে মজার মজার সব টুইট করতেও পারদর্শী এই ক্রিকেটার।
টুইটারে ক্রিকেটের নানা বিষয় নিয়ে নিয়মিতই কথা বলেন। নিশাম যদি এগুলো কমেন্ট্রি বক্সেও করতে পারেন তাহলে তিনি জনপ্রিয় কমেন্ট্রেটরও হতে পারেন।
- স্টুয়ার্ট ব্রড (ইংল্যান্ড)
টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের সেরা পেসারদের তালিকায় ব্রডের নাম অবশ্যই থাকবে। তিনি হয়তো তাঁর সার্কাজমের জন্য পরিচিত না তবে ক্রিকেট নিয়ে তাঁর মতামত সবসময়ই গভীর।
খেলাটা সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি অন্যদের থেকে বেশ আলাদা এবং এটি দর্শকদেরও বেশ আকর্ষণ করার কথা। এছাড়া তাঁর টেকনিকাল বিশ্লেষণ কমেন্ট্রিকে নতুন মাত্রা দিবে বলেই ধারণা। ফলে ব্রড চাইলে হয়তো অবসরের পর যোগ দিতে পারেন কমেন্টেটর পেশায়।
- যুজবেন্দ্র চাহাল (ভারত)
ভারতের এই ক্রিকেটার এই মুহুর্তে ক্রিকেটের অন্যতম মজার মানুষ। চাহাল টিভি নামে একটি শো’ও করেন এই স্পিনার। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নানা রকম কন্টেন্ট তৈরি করেন এই ক্রিকেটার।
এছাড়া কথা বলার সময়ও নানারকম মজা করার চেষ্টা করেন তিনি। ওদিকে স্পিনার হিসেবে তো তাঁর গভীর জ্ঞান আছেই। ফলে চাহাল চাইলে কমেন্ট্রি বক্সে এসেও কথাগুলো বলতে পারেন।
- তামিম ইকবাল (বাংলাদেশ)
বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন তামিম ইকবাল। ক্রিকেট বিষয়ে তাঁর গভীর জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলারও কোন সুযোগ নেই। লম্বা সময় ধরেই খেলেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এছাড়া কথা বলায়ও বেশ পটু এই ওপেনার।
করোনা আঘাত হানার পর বিভিন্ন ক্রিকেটারদের নিয়ে ফেসবুক লাইভ করেছিলেন তিনি। মহামারির সময়ে তাঁর এই লাইভ গুলো বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছিল। লাইভ গুলো হোস্ট করেও দারুণ প্রশংসা করেছিলেন তামিম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলা তামিমের জন্য ধারাভাষ্যই হতে পারে নতুন ও রোমাঞ্চকর এক ক্যারিয়ার।
- রবিচন্দ্রন অশ্বিন (ভারত)
ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা স্পিনারদের একজন অশ্বিন। ক্রিকেট নিয়ে তাঁর জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দারুন। এছাড়া ক্রিকেটের ইতিহাস নিয়েও বেশ পড়াশোনা আছে এই স্পিনারের।
এছাড়া কথা বলায়ও বেশ পারদর্শী তিনি। ইংরেজি ভাষায়ও বেশ সাবলীল অশ্বিন। ফলে ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পরও থাকতে পারেন কমেন্ট্রি বক্সেই।
- ইশ সোধি (নিউজিল্যান্ড)
নিউজিল্যান্ডের লেগ স্পিনার ইশ সোধিও আছেন আমাদের এই তালিকায়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দারুণ সফল এই কিউই স্পিনার। এছাড়া কথা বলায়ও দারুণ পারদর্শী এই স্পিনার।
সাক্ষাতকার দেয়ার সময় নিজের মতামতকে সুন্দর করে তুলে ধরতে পারেন। এছাড়া ইংলিশ, হিন্দি দুই ভাষাতেই বেশ সাবলীল এই স্পিনার।