‘আমাদের আক্রমণাত্মক হতে হবে’

টানা তিন সিরিজ জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দারুণ ছন্দে থাকলেও বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের পরিকল্পনা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।

ঘরের মাঠের সুবিধা নেওয়ার কারণে বাংলাদেশের কৃতিত্বকে অনেকেই ছোট করে দেখছেন। এই সব সমালোচনা, দলের সাম্প্রতিক সাফল্য ও বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রত্যাশা নিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক গণমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে।

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের সাক্ষাৎকারটি খেলা ৭১ – এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আপনার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী হবে?

আমি আশা করছি দুবাই ও আবুধাবির উইকেটগুলো ব্যাটিং সহায়ক হবে। আমি মনে করি, ব্যাটসম্যানদের একটু বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। সেই জন্য ব্যর্থতা নিয়ে কোন ভয় করা যাবে না। আমাদের নিজেদের স্বাধীন ভাবে খেলতে হবে। আমরা যেটাই করি না কেনো আক্রমণাত্মক হতে হবে। বড় দলের বিপক্ষে আমাদের নিয়মিত ১৬০-১৮০ রান তাড়া করতে হবে। বড় দল গুলোকে হারাতে হলে আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে এবং স্বাধীন ভাবে খেলতে হবে। আমি মনে করি টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটসম্যানদের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কখনো কখনো আমরা ১২০ রানে অলআউট হয়ে যাবো, কিন্তু যদি আমাদের আক্রমণাত্মক মানসিকতা না থাকে, আমরা মূল লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো না। ১৭০ এর উপর রান তাড়া করতে ঝুঁকি নিতেই হবে। কিন্তু যদি আপনি এটা কাটিয়ে উঠতে পারেন এবং চ্যালেঞ্জে পৌঁছাতে পারেন, তাহলে ভালো দল হবেন।

আপনি ২০১৯ এর শেষের দিকে স্থায়ী ভাবে টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি কি মনে করেন যে আপনি একটি গোছানো দল নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাচ্ছেন?

করোনার কারণে বিশ্বকাপ পিছিয়ে গেল। আমরা দীর্ঘ দিন ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু এখন আমরা আগের জায়গাতে ফিরে এসেছি। আমরা নিয়মিত সব ফরম্যাট খেলছি। আমি মনে করি বিশ্বকাপের আগে এই তিনটি সিরিজ খেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাতে হবে। একটা ভালো দিক যে আমরা বেশ কিছু জয় নিয়ে বিশ্বকাপে যাচ্ছি। নিয়মিত জয় সব সময় আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। ভালো খেলে হেরে যাওয়াটা জেতার মতো প্রভাব রাখে না।

আমার জানা মতে আপনি বোলারদের বলেছিলেন যে আক্রমণাত্মক ভাবে মাঠ সাজানোর পর যদি সে বেশি রান দিয়ে ফেলে সেই দায় আপনার উপর থাকবে। বোলারের কোন দায় থাকবে না। এই সম্পর্কে একটু বলুন?

আমি দায়িত্বশীল হতে উপভোগ করি। আমি এই চ্যালেঞ্জ পছন্দ করি। আমি মনে করি এটা আমাকে সেরাটা দিতে সাহায্য করে। কখনো কখনো বোলার জানে না ঠিক কী ভাবে বোলিং করবে ওরা। কিন্তু যখন তারা এটা নিয়ে বিভ্রান্ত হয়, আমি ওদের বলি এটা আমার উপর ছেড়ে দাও। আমি বোলারদের বলি আমি মাঠ সেট করতেছি তুমি শুধু বোলিং করবা। এটা তাদের মাঠ অনুযায়ী বল করার আত্মবিশ্বাস দেয়। তাঁরা খুব একটা চিন্তা করে না। যখন আমি এটি করছি, আমি প্রতিটি বোলারের শক্তি বুঝেই এটা করি। টি-টোয়েন্টিতে একটু সন্দেহ রেখেও আপনার ব্যাটিং বোলিং করা উচিত নয়। যখন একজন বোলার বিভ্রান্ত হয়, তখন আমি মনে করি তাকে স্বাচ্ছন্দ্যে নিয়ে আসা আমার দায়িত্ব।

বেশির ভাগ সময় চাপের পরিস্থিতিতে ক্যামেরা আপনার দিকে চলে আসে। তখন আপনার অভিব্যক্তি বেশি ভিন্ন থাকে না। এর কারণ কি আপনি আপনার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন, নাকি আপনার কাছে এটাই স্বাভাবিক?

(হাসি) আমি যে কোন পরিস্থিতিতে যতটা সম্ভব শান্ত থাকার চেষ্টা করি। আমি মনে করি এটি আরো ভাল সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। বিশেষ করে চাপের পরিস্থিতিতে। আমি নিশ্চিত আমি আবেগপ্রবণ। আমিও রেগে যাই। কিন্তু আমি শান্ত থাকার চেষ্টা করি। নেতা হিসাবে তো আমি বিভ্রান্ত হতে পারি না। এটি দলের বাকি খেলোয়াড়দের প্রভাবিত করবে। দলে সব সময় শান্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। আমি যখন সাকিব এবং মুশফিকের সাথে ব্যাটিং করি, ওরা জানে আমি কী ভাবছি, এবং আমি জানি ওরা কোন বোলারদের আক্রমণ করবে। এটা দীর্ঘ সময় ধরে একে অপরের সাথে খেলার কারণে বোঝা যায়। তাদের সাথে আমার কথা কমই হয়।

অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ে বড় পার্থক্য কী ছিলো?

দলে সুস্থ প্রতিযোগিতা আছে। এবং জেতার জন্য সবার প্রচুর ক্ষুধা রয়েছে। আমি মনে করি জিম্বাবুয়ে সফরের পর থেকে আমাদের সবার শরীরের ভাষা অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে এই বার্তায় দিয়েছে। আমি মনে করি আমাদের নিজেদের উন্নত করার ও ঘরের মাঠে আমাদের আধিপত্য বজায় রাখার চ্যালেঞ্জ বড় পার্থক্য তৈরি করেছে।

উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিলো। আপনি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অন্যদের চেয়ে ভাল মানিয়ে নিয়েছেন বলে মনে হচ্ছিলো?

এটা আল্লাহর রহমত। দুই দলের ব্যাটসম্যানদের জন্যই কাজটা কঠিন ছিলো। এটা শুধু আমাদের প্রতিপক্ষের জন্য কঠিন ছিল না। কন্ডিশনের কারণে আমরা দুটি সিরিজেই বোলাদের আধিপত্য দেখেছি। আমি মনে করি আমাদের ব্যাটসম্যানরা নিজেদেরকে একটু ভালো ভাবে যাচাই করেছে। বিশেষ করে নতুন বলের বিরুদ্ধে ব্যাট করা কঠিন ছিল। ওপেনার এবং তিন ও চারে যারা ব্যাট করতে নেমেছে তাঁরা সংগ্রাম করেছে। কিন্তু বলের সিম যতই পুরোনো হয়েছে ব্যাট করা সহজ হয়ে গিয়েছে। আমরা কিছু ম্যাচে দ্রুত উইকেট হারিয়েছি। কিন্তু ভালো জুটির মাধ্যমে আমরা সেটা কাটিয়ে উঠেছি। আমি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাকিবের সাথে একটা, আরেকটা মুশফিকের সাথে জুটি গড়েছি। সোহান এবং আফিফ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ জয়ী জুটি গড়েছিলো। ওদের ক্রেডিট দেওয়া উচিত।

আপনি এখন টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান হিসাবে নিজকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন?

আমি সব সময় তিনটি ফরম্যাটেই সমান গুরুত্ব দিয়েছি। আমি এর আগে ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে খুলনায় ট্রেনিং ক্যাম্পের কথা বলেছিলাম। এটা হাথুরুসিংহের অধীনে ছিল। এটি আমার অনুশীলন এবং খেলার পদ্ধতি পরিবর্তন করেছে। এটি আমার ব্যাটিংয়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। সেই সময়ে ছয় সাত নম্বরে ব্যাট করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। চার পাঁচ নম্বরে ব্যাট করার পর আমাকে শিখতে হয়েছিলো ছয় সাত নম্বরে নেমে কী ভাবে ১০-১৫ বলে সর্বোচ্চ রান করতে হয়। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে হোক বা রান তাড়া করতে নেমে হোক স্টাইকরেট ১৫০-১৭০ রাখতে হবে। আমি হাথুরুকে সাথে নিয়ে এমন একজন ব্যাটসম্যানের সাথে কাজ করোছি যিনি এই ভূমিকায় নিয়মিত ব্যাট করেন। আমি এখনো মনে করি আমি আরো ভালো স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করতে পারবো। আমি ১২০ স্ট্রাইকরেট থেকে এটি ১৩০-১৩৫ পর্যন্ত নিয়ে যেতে চাই। আমার উন্নতির সুযোগ আছে, যা আমাকে আরও ভালো ব্যাটসম্যান হিসেবে গড়ে তুলবে।

একটি ম্যাচে বা একটি সিরিজে দলকে ভালো ফলাফল অর্জনে সাহায্য করার ক্ষেত্রে একজন অধিনায়কের পারফরম্যান্স কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

অধিনায়কের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অধিনায়কের জন্য দল এবং তাঁর সতীর্থদের জন্য মান নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। একই সময়ে অধিনায়ককে মাঠে এবং মাঠের বাইরে সবার ছোট অবদানেরও প্রশংসা করতে হবে। একজন অধিনায়ককে অবশ্যই এই কাজটা করতে হবে যাতে সবাই মনে করে যে তাদের অন্য খেলোয়াড়দের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় টি -টোয়েন্টিতে আপনি দলের ১২৭ রানের ভিতর ৫২ রান করেছিলেন। এবং অস্ট্রেলিয়াকে ১১৭ রানে আটকিয়ে ম্যাচ জিতেছিলেন। অধিনায়ক হিসাবে এটাকে কী ভাবে মূল্যায়ন করবেন?

এটি সম্ভবত আমার সেরা ম্যাচ গুলোর ভিতর একটি। আমরা ব্যাটিংয়ে কঠিন অবস্থার মুখোমুখি হয়েছিলাম। যখন আমি ব্যাটিং করতে যাই তখন পরিস্থিতি সহজ ছিল না। প্রথম দুই ম্যাচে আমরা অস্ট্রেলিয়ার থেকে ধীরে বল করেছি। আমরা বুঝতে পেরেছি যে আপনি এই উইকেটে যত দ্রুত বোলিং করবেন, ব্যাট করা ততই সহজ হবে। সেই ম্যাচে তাঁরা দ্রুত দুটি বা তিনটি বল করেছিল। আমি ১৩০ থেকে ১৩৫ এর ভিতর লক্ষ্য রাখতে চেয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছে বোলাররা এই রান নিয়ে জেতাতে পারবে। আমি এই জয়ের জন্য বোলারদের কৃতিত্ব দেই। তাঁরা একটি দ্রুত উইকেট নিয়েছিল। যদিও অস্ট্রেলিয়ার একটি বড় জুটি হয়েছিলো। কিন্তু আমাদের ছেলেরা হাল ছাড়েনি।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, মাঠের বাইরে দল পরিচালনা করাটা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ।

করোনা মহামারী চলাকালীন, আমরা একসাথে তিন বা চার জায়গায় থাকতে পারি। তাই আমরা বেশির ভাগ সময় ডাইনিং রুমে বা জিমে কাটিয়ে থাকি। আমরা একে অপরের সাথে কথা বলি। যেমন যখন আমি জিমে থাকি আমি মুস্তাফিজ, তাসকিন বা শরিফুলের সাথে কথা বলি। আমরা খেলা থেকে নির্দিষ্ট কিছু পয়েন্ট, নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে বোলিং নিয়ে আলোচনা করি। আমরা সবাই আমাদের মতামত দিই। এবং পরবর্তীতে যখন আমরা মাঠে থাকি চাপের পরিস্থিতিতে সেই পদক্ষেপ নেই। আমি মনে করি বায়ো বাবলে থাকার একমাত্র ইতিবাচক দিক এটাই। এছাড়া বাকি গুলো বেশ কঠিন।

দীর্ঘমেয়াদে বায়ো বাবলে কেমন মনে হয়?

পারিবারিক মানুষ হওয়ায় আমি আমার পরিবারকে অনেক মিস করি। আমি প্রায়ই আমার পরিবারের সাথে ভ্রমণ করেছি। এখন সেই সুযোগ খুব কম। সবাই তাদের পরিবারকে মিস করে। এটা প্রয়োজন যে আমরা একে অপরের কাজ এবং তাদের মতামত প্রশংসা করি। এটি সবাইকে অনুপ্রাণিত করে।

তরুণ খেলোয়াড় এবং অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রণ করার ভিতর কতটা পার্থক্য?

আমি কোন পার্থক্য দেখি না। সবাই খুব সহায়ক এবং সহযোগী। আমরা একজন অন্য জনের প্রশংসা করি। এই সব নিয়ে কোন চিন্তা নেই। আমি মনে করি এখন তরুণরা তাদের ফিটনেস, প্রস্তুতি এবং অনুশীলনের ব্যাপারে বেশি দায়িত্বশীল। এটা দেখতে ভালোই লাগে।

সাকিব এবং মুশফিক টি-টোয়েন্টিতে কী ভাবে আপনাকে সাহায্য করে?

ওরা বাংলাদেশের দুই অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। ওরা সব সময় সাহায্য করেছে। একটি দলের ভালো করার জন্য, এই বিষয় গুলো গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ আমি বোলিং পরিবর্তন করছি, সাকিব হয়তো পরামর্শ দিবেন যে আমি তাকে অন্য প্রান্ত থেকে যেনো নিয়ে আসি। মুশফিকও পরামর্শ দেন। ওরা নিজেরাই এগুলো করে। ওরা এটা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এটা সত্যিই ভালো।

যখন আপনি রান তাড়া করার পথে থাকেন, তখন সাকিব ও মুশফিকের মতো অভিজ্ঞ বা আফিফের মতো একজন তরুণের সাথে ব্যাট করা কতটা আলাদা?

আমি যখন সাকিব এবং মুশফিকের সাথে ব্যাটিং করি, ওরা জানে আমি কী ভাবে কী করি। এবং আমি জানি ওরা কোন বোলারদের আক্রমণ করবে। এটি দীর্ঘ সময় এক সাথে খেলার কারণে হয়। ওদের সাথে আমার কথা কমই হয়। একজন আরেক জনের অনুভূতি এবং আমরা কী করতে চাই সেটা বুঝি। কিন্তু যখন আমি আফিফ, নাঈম বা সোহানের সাথে ব্যাটিং করি, তখন তাদের সাথে আমার কথা বলার প্রয়োজন হয়। কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে বোলারদের আক্রমণ করার সময় আমাকে তাদের মনে করিয়ে দিতে হয়। হয়তো আমি ওদের বলি আমাদের আক্রমণ করতে দেরি হতে পারে বা নির্দিষ্ট কোন বোলারের বিপক্ষে ঝুঁকি নিতে হতে পারে।

অস্ট্রেলিয়াকে ৬২ রানে এবং নিউজিল্যান্ডকে ৬০ ও ৯৩ রানে অলআউট করার পরেও বোলারদের সমালোচনা হয়েছে। অনেকেই মনে করেন এটা উইকেটের কারণে হয়েছে, বোলারদের জন্য নয়?

আমি একমত যে উইকেট এবং কন্ডিশন বোলারদের পক্ষে ছিল। ব্যাটসম্যানদের জন্য এটা কঠিন ছিল। কিন্তু আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্যও তো এটা কঠিন ছিল। আমরা যখন ব্যাট করতে যাই তখন কি উইকেট ব্যাটিং বান্ধব হয়ে গিয়েছিল। যখন বোলিং ইউনিট আমাদের জিততে সাহায্য করছে। তখন কেন তাদের কৃত্বিত ছোট করে দেখা হচ্ছে। আমাদের বোলাররা ভালো বোলিং করেছে, যা প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের ভুল করতে বাধ্য করেছে। সব বোলারেরই কৃতিত্ব পাওয়া উচিত। তাঁরা সফল হওয়ার জন্য চেষ্টা করেছিল, তাই সমালোচনা অযৌক্তিক। আমরা শেষ তিনটি সিরিজ জেতার জন্য ভালো ক্রিকেট খেলেছি। আমরা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বড় রান তাড়া করেছিলাম। শেষ ম্যাচে আমরা ১৯.২ ওভারে ১৯৪ রান তাড়া করেছিলাম। আমি বুঝতে পারি এটা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ছিল, কিন্তু আমরা কিন্তু তাদের কন্ডিশনে খেলছিলাম। কোনো দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ১৯০ এর বেশি রান তাড়া করা সহজ নয়। ১৯৪ রান সফল ভাবে তাড়া করা দলের আত্নবিশ্বাস অর্জনে সাহায্য করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link