করোনার কারণে মাঝপথে আইপিএল থামিয়ে দিতে হওয়ায় বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছিল ভারতের ক্রিকেট বোর্ড। কেননা আসরের বাকি অংশ শেষ করার জন্য সময় বের করা ছিল একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ। ভারতসহ বিশ্বের সব ক্রিকেট খেলুড়ে দলগুলোই পাড় করছে ব্যস্ত সময়। তারপরও বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে একটা সময় বের করতে পেরেছে আইপিএল।
বিশ্বকাপের আগে আইপিএল অনুষ্ঠিত হলেও বিদেশি ক্রিকেটারদের পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। অনেক ক্রিকেটারই নিজেদের নাম সড়িয়ে নিয়েছেন। ফলে দলগুলোকে খুঁজতে হয়েছে বিকল্প। বাকি আসরের জন্য এমন কয়েকজন ক্রিকেটারদের আনা হয়েছে যাদের এবার আইপিএলে অভিষেক হবে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন এই আসরে নিজেদের দাগ রেখে যেতে পারেন। সম্ভাবনাময় সেসব ক্রিকেটারদের নিয়েই এই তালিকা।
- ন্যাথান এলিস (অস্ট্রেলিয়া)
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের নয়া আবিস্কার নাথান এলিস। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অভিষিক্ত হন এই অজি। বাংলাদেশের কন্ডিশনে দল ভুগলেও মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন এই অজি পেসার। উপমহাদেশে এমন পারফর্মেন্সের পুরষ্কারও পেয়েছেন খুব দ্রুতই। আইপিএলের বাকি আসরের জন্য তাঁকে দলে ভিড়িয়েছে পাঞ্জাব কিংস।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রথম বোলার হিসেবে নিজের অভিষেক ম্যাচেই করেছেন হ্যাটট্রিক। যদিও বাংলাদেশের বিপক্ষে মিরপুরে ইনিংসের শেষ তিন বলে পাওয়া সেই উইকেটে দলের কোনো উপকার হয়নি। ম্যাচ ও সিরিজ হেরেছে অস্ট্রেলিয়া দল।
খুব বেশি গতি না থাকলেও আরব আমিরাতের কন্ডিশনে তাঁর বৈচিত্রময় বোলিং বেশ কার্যকর হবার কথা। এছাড়া ডেথ ওভারে দারুণ কার্যকর তিনি। তাঁর স্লোয়ারও বেশ ভুগাতে পারে ব্যাটসম্যানদের। সবমিলিয়ে তরুণ এই পেসার আইপিএলের বাকি আসরে বড় বাজি হতে পারেন।
- আদিল রশিদ (ইংল্যান্ড)
ইংল্যান্ডের লেগ স্পিনার আদিল রশিদকেও দেখা যাবে এবারের আইপিএলে। এই স্পিনারকেঅ দলে ভিড়িয়েছে পাঞ্জাব কিংস। ইংল্যান্ডের এই রিস্ট স্পিনার এর আগে আইপিএলে খেলার সুযোগ পাননি। তবে সাদা বলের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই স্পিনার এবার নিশ্চই নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করবেন। ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা ৬২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তাঁর ঝুলিতে আছে ৬৫ টি উইকেট।
মিডল ওভারে উইকেট তুলে নেয়ার জন্য দারুণ পারদর্শী এই স্পিনার। রশিদের ২২.০৮ বোলিং গড় ও ৭.৪৩ ইকোনমি রেটও বেশ আকর্ষণীয়। এছাড়া তাঁর গুগলি পাঞ্জাবের জন্য বড় অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে। ফলে একাদশে থাকলে আদিল রশিদকে নিশ্চই দেখে খেলতে চাইবেন প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানরা।
- ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা)
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ইতোমধ্যেই শ্রীলঙ্কার ভরসার নাম হয়ে উঠেছেন হাসারঙ্গা। বিশেষ করে উপমহাদেশের কন্ডিশনে দারুণ কার্যকর এই স্পিনার। রশিদ খান বা আদিল রশিদদের পর এই মুহূর্তে লেগ স্পিনার হিসেবে তাঁর নামই উচ্চারিত হয়। শ্রীলঙ্কার এই স্পিনারকে এবার দলে ভিড়িয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। তিনি এসেছেন অস্ট্রেলিয়ান লেগ স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পার বিকল্প হয়ে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে লঙ্কান তারুণ্যের প্রতীক হাসারাঙ্গা দারুণ ইকোনমিক্যাল। শ্রীলঙ্কার হয়ে খেলা ২৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তাঁর ইকোনমি রেট মাত্র ৬.৫৭। উইকেট তুলে নিতেও দারুণ পারদর্শী তিনি।
মাত্র ১৫.৪৭ বোলিং গড়ে তুলে নিয়েছেন ৩৬ উইকেট। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর বোলিং স্ট্রাইকরেট মাত্র ১৪.১০। এছাড়া লোয়ার অর্ডারে ব্যাট হাতেও কার্যকর হতে পারেন তিনি। সবমিলিয়ে আইপিএলে নিজের অভিষেক আসরে তাঁকে নিয়েও বড় স্বপ্ন দেখা যায়।